সোমবার তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে পারেন আরজেডি নেতা ও লালু পুত্র তেজস্বী যাদব । আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল ও রাষ্ট্রীয় জনতা দলের জোট সম্ভাবনা ক্রমশই উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। আদৌও এই দুই দল প্রাক নির্বাচনী জোটে যাবে কীনা, তা নিয়ে আলোচনা চলবে আজকের বৈঠকে। তৃণমূল সূত্রের খবর বিহার বিধানসভার বিরোধী নেতা ও তৃণমূল নেত্রীর এই বৈঠকে বেশ কিছু সমীকরণ বেরিয়ে আসতে পারে।
এদিনের বৈঠকে কথা হতে পারে বিধানসভা নির্বাচনে এই দুই দলের জোট (pre-poll alliance) হলে, তার আসন রফা নিয়ে। এর আগেও আরজেডি ও তৃণমূলের বৈঠক হয়। আরজেডির উচ্চপদস্থ কিছু নেতা কথা বলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তৃণমূলের নজরে আসানসোল, হাওড়া ও কলকাতার একাংশে বসবাসকারী বিহারি ভোটবাক্সের দিকে। আরজেডি পাশে থাকলে, এই ভোট পাওয়া সুবিধা হবে মমতার। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে যদি আরজেডি ও তৃণমূল জোটে যায়, তবে তা বিজেপি ও সিপিএম-কংগ্রেস জোটের কাছে বড় ধাক্কা হবে। এদিকে আরজেডি অসম বিধানসভা নির্বাচনেও প্রার্থী দিচ্ছে।
উল্লেখ্য, দু’বছর আগে অর্থাৎ লোকসভা ভোটের সময় ব্রিগেড থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে বিজেপিকে আক্রমণ করেছিলেন লালুপুত্র৷ একাধিক প্রবীণ নেতার মাঝে তাঁর ঝাঁঝালো বক্তব্য মন জয় করেছিল। গোটা বিহার বিধাসভা নির্বাচনের মেয়াদে তেজস্বীর করিশ্মা অনেক সময়ে পিছন ফেলে দিয়েছে মোদি-নীতিশের ইমেজকেও। একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে আরজেডি। অল্পের জন্য যদিও গদি দখল হয়নি, তবে শক্তিশালী বিরোধী হিসেবে তেজস্বী নিজের হাতেই দলকে প্রতিষ্ঠা দিয়েছেন। তনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের জন্য তাঁকে ফোন করে শুভেচ্ছাও জানিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, গত মাসে গুরুতর অসুস্থ হয়ে এইমস–এ ভর্তি হন লালু। তখনও টুইটারে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মমতা।
শুক্রবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গ-সহ পাঁচ রাজ্যর বিধানভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছে জাকীয় নির্বাচন কমিশন। বাংলা ছাড়াও কেরল, তামিলনাড়ু, আসাম ও পুদুচেরিতে বিধানসভা নির্বাচন হবে। তবে একমাত্র বাংলাতেই সবচেয়ে বেশি সময় ধরে চলবে নির্বাচনী প্রক্রিয়া। ২৩৪ আসনের তামিলনাড়ুতেও এক দফায় ভোটগ্রহণ হবে। তবে পশ্চিমবঙ্গে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে আট দফায়। বাংলা সহ পাঁচ রাজ্যেই ভোট গণনা ২ মে। পশ্চিমবঙ্গে প্রথম দফার ভোট ভোট ২৭ মার্চ। এই দফায় ভোট হবে ৩০টি আসনে। দ্বিতীয় দফার ভোট ১ এপ্রিল। ৩০টি আসনে হবে ভোট গ্রহণ।
তৃতীয় দফায় ৬ এপ্রিল ৩১ টি আসনে ভোট হবে। চতুর্থ দফায় ১০ এপ্রিল ৪৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। পঞ্চম দফায় ৪৫টি আসনে ভোট হবে ১৭ এপ্রিল। ষষ্ঠ দফায় ভোট হবে ২২ এপ্রিল। সপ্তম দফায় ভোট গ্রহণ হবে ২৬ এপ্রিল ও অষ্টম তথা শেষ দফায় ভোট হবে ২৯ এপ্রিল।
Be the first to comment