বিহার ভোটে নিজের বাহুবল প্রমাণ করেছেন। এবার বামেরা ২৮ ফেব্রুয়ারি তাদের ব্রিগেডে হাজির করছে লালুপুত্র তেজস্বী যাদবকে। সূত্রের খবর, ২৭ ফেব্রুয়ারিই শহরে পা রাখতে পারেন তেজস্বী। রবিবাসরীয় ব্রিগেডে দেখা যাবে সিপিএম-এর সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, আরএসপি সাধারণ সম্পাদক মনোজ ভট্টাচার্য , নরেন চট্টোপাধ্যায়, স্বপন চট্টোপাধ্যায়রা। এদের পাশে তেজস্বীর মতো তরুণ আরজেডি নেতার উপস্থিতি চমক হিসেবেই রাখছেন বামেরা। তারা চাইছে জোট ব্রিগেড আক্ষরিক অর্থেই ঐতিহাসিক হয়ে উঠকু।
গোটা বিহার বিধাসভা নির্বাচনের মেয়াদে তেজস্বীর করিশ্মা অনেক সময়ে পিছন ফেলে দিয়েছে মোদি-নীতিশের ইমেজকেও। একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে আরজেডি। অল্পের জন্য যদিও গদি দখল হয়নি, তবে শক্তিশালী বিরোধী হিসেবে তেজস্বী নিজের হাতেই দলকে প্রতিষ্ঠা দিয়েছেন। এদিকে অধীর চৌধুরী জোট বৈঠকেই বলেন, আরজেডিও তাঁদের হাত ধরতে চলেছে। কাজেই তেজস্বীর আসাটা এই সময়ে তাদের অনুকূলেই যাবে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তবে বামেদের হয়ে ব্যাটন ধরে তেজস্বী কতটা মমতা বিরোধিতা করেন তাই দেখার।
এবার ব্রিগেডে বামেরা ১০ লক্ষ লোক চাইছে। সেই মতো জেলায় জেলায় নেতৃত্বদের বার্তা দেওয়া হয়েছে। শুধু কলকাতা থেকেই আসতে চলেছে অন্তত ১ লক্ষ লোক। বাড়তি নজর দেওয়া হচ্ছে পুরুলিয়া, জঙ্গলমহলের মতো অঞ্চলকগুলিতে। লোক আসছে পাহাড় থেকেও। প্রতিবারের ব্রিগেডের দেওয়াল লিখনের থেকে এবারের প্রচার পরিকল্পনাও আলাদা। আলিমুদ্দিন স্বত্ত্ব স্বীকার না করলেও জেন ওয়াইকে মাঠমুখী করতে সোশ্যাল মিডিয়ায় এসেছে টুম্পাগানের প্যারোডি। অন্য দিকে ভোট ধরতে বামেরা বলছেন, হাল ফেরাও লাল ফেরাও। টুম্পা নাকি হাল ফেরানোর ডাক, কোন ওষুধে মন গলে মানুষের সেটাই দেখার।
Be the first to comment