গত ২ নভেম্বর ফ্যামিলি কোর্টে স্ত্রী ঐশ্বর্য রাইয়ের বিরুদ্ধে ডিভোর্স পিটিশন ফাইল করেছিলেন বিহারের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ যাদবের বড় ছেলে তেজপ্রতাপ যাদব। তাঁর যুক্তি ছিল, বাড়ির চাপে তিনি ওই বিবাহ করতে রাজি হয়েছিলেন। এখন দু’জনে মানিয়ে চলতে পারছেন না। বৃহস্পতিবার সেই পিটিশনের ওপরে শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এদিনই বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন তুলে নিলেন তেজপ্রতাপ।
তাঁর আইনজীবী যশবন্ত কুমার শর্মা বলেন, আমার মক্কেল ও তাঁর স্ত্রীর মধ্যে বোঝাপড়া হচ্ছে না। তাই তিনি ডিভোর্স চেয়েছেন। এর বেশি কিছু বলতে তিনি অস্বীকার করেন।
তেজপ্রতাপের দিদি তথা রাজ্যসভার সাংসদ মিশা ভারতী বলেছিলেন, ভাই ডিভোর্সের আবেদন করেছে তিনি জানেন না। লালুর পরিবারের ঘনিষ্ঠ বিধায়ক ভোলা যাদবও বলেছিলেন, ব্যাপারটা খুবই আশ্চর্যজনক। তেজপ্রতাপ ডিভোর্সের আবেদন করতে যাচ্ছে জানতামই না। ডিভোর্সের পিটিশন ফাইল করার পরে তেজপ্রতাপ বাড়ির কারও সঙ্গে দেখা করেননি। বাবার সঙ্গে দেখা করার জন্য সোজা রওনা হয়েছিলেন রাঁচিতে। কিন্তু পরিবারের চাপে তাঁকে মাঝপথ থেকে ফিরে আসতে হয়। লালুর পরিবারের ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি বলেন, তেজপ্রতাপের আচরণে তাঁর পরিবারের লোকজন খুব অসন্তুষ্ট। ইতিমধ্যে তাঁদের অনেকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা আছে। তার ওপরে তেজপ্রতাপ যেভাবে সদ্য বিবাহিত স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ চাইছেন তাতে পরিবারের সম্মানহানি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
আরজেডি বিধায়ক তেজপ্রতাপের সঙ্গে ঐশ্বর্যের বিবাহ হয় ১২ মে। সেই উপলক্ষে রাঁচি জেল থেকে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে পাটনায় আসেন লালু। দুই ভিআইপি, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান বিয়েতে আমন্ত্রিত ছিলেন।
Be the first to comment