পরিবারের অমতে ভিন্ন জাতের ছেলেকে বিয়ে করেছিলেন কুড়ি বছরের অনুরাধা। আর সেই অপরাধেই মরতে হয়েছে তাঁকে। তাঁর বাবা-মা এবং পরিবারের বাকি সদস্যরাই পিটিয়ে মেরে ফেলেছেন অনুরাধাকে। এমনটাই অভিযোগ তুলেছেন অনুরাধার স্বামী এ লক্ষণ।
রবিবার, অনার কিলিংয়ের এই ঘটনাটি ঘটেছে তেলেঙ্গানার মনচেরিয়াল জেলায়, কালামাগাডু গ্রামে। পেশায় কম্পিউটার অপারেটর লক্ষণকে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই ৩ তারিখ বিয়ে করেছিলেন অনুরাধা। দু’জনেই ছিলেন একই গ্রামের বাসিন্দা। অনুরাধার পরিবারের এই বিয়েতে মত না থাকায় লক্ষণের সঙ্গে হায়দ্রাবাদে পালিয়ে আসেন তিনি। হায়দ্রাবাদের আর্য সমাজেই হয়েছিল লক্ষণ এবং অনুরাধার বিয়ের অনুষ্ঠান।
প্রায় কুড়ি দিন পর গ্রামের বাড়িতে ফিরেছিলেন লক্ষণ। সঙ্গে ছিলেন অনুরাধা। খবর পেয়ে সেদিন রাতেই লক্ষনের বাড়িতে হামলা করেন অনুরাধার পরিবারের সদস্যরা। মেয়েকে জর করে তাঁরা নিয়ে যান বলেও অভিওগ করেছেন লক্ষণ। এরপরেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অনুরাধার খোঁজে দ্রুত তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। এই তল্লাশি অভিযান চলাকালীন মনচেরিয়ালের একটি গ্রামের কাছে কিছু হাড়গোড় পায় পুলিশ।
ইতিমধ্যেই সেগুলিকে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে ফরেন্সিক ল্যাবে। মনচেরিয়ালের ডিসিপি বেণুগোপাল রাও জানিয়েছেন, ফরেন্সিক রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরেই তারা কোনও মন্তব্য করতে পারবেন।
তবে, অনুরাধার নিখোঁজ হওয়ার কারণ জানতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইতিমধ্যেই তাঁর বাবা-মা এবং পরিবারের আরও কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ। এ দিকে পুলিশ জানিয়েছে জেরায় অনুরাধার পরিবার স্বীকার করেছে যে অনুরাধা মৃত। নির্মল জেলার মল্লপুর গ্রামের কাছে নাকি পুড়িয়েও ফেলা হয়েছে অনুরাধার দেহ। কিন্তু পরিবারের লোকেরাই থুড়ি অনুরাধার মা-বাবাই তাঁকে মেরে ফেলেছেন, নাকি অন্য কোনও কারণে মৃত্যু হয়েছে অনুরাধার তা নিয়ে ধন্দে রয়েছে পুলিশ।
Be the first to comment