২০১৬ সালে হিজবুল নেতা বুরহান ওয়ানি নিহত হওয়ার পরে জঙ্গি দলে যোগ দিয়েছিল সবজার আহমেদ সফি। তার আগে সে গবেষণা করত। বুধবার ভোরে সে এবং অপর জঙ্গি আসিফ আহমেদ শিরগরজি নিহত হয় নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে। তার পরেই বিক্ষোভ দেখতে পথে নামে হাজার হাজার মানুষ। ভিড়ের মধ্যে ঢুকে কয়েকজন হিজবুল জঙ্গি নিহত দুজনকে গান স্যালুট দিয়ে যায়। দুজনের মৃত্যুতে বৃহস্পতিবার কাশ্মীর উপত্যকায় বন্ধ ডেকেছে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা।
পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে নির্দিষ্ট সূত্রে খবর পাওয়া যায়, শ্রীনগরের ওয়ানবাল অঞ্চলে একটি বাড়ির মধ্যে দুই জঙ্গি লুকিয়ে আছে। নিরাপত্তারক্ষীরা বাড়িটিকে ঘিরে ফেলেন। তল্লাশির সময় জঙ্গিরা তাঁদের লক্ষ করে গুলি চালায়। রক্ষীরা পালটা গুলি চালান। দুপক্ষের গুলি বিনিময়ের মধ্যে যে বাড়িটিতে জঙ্গিরা লুকিয়ে ছিল, তা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নিরাপত্তা রক্ষীরা বাড়ি লক্ষ করে মর্টার ফায়ার করেন। বাড়ির একটি অংশ প্রায় ভেঙে পড়ে।
সফি এবং অপর জঙ্গির বাড়ি ছিল অনন্তনাগ জেলায়। তাদের মৃত্যুর খবর পেয়ে তাদের গ্রামে হাজার হাজার লোক পথে বিক্ষোভ দেখতে নামে। অনন্তনাগের নয়না সানগাম অঞ্চলে তাদের শেষকৃত্য হয়। তখনই হিজবুল জঙ্গিরা গান স্যালুট জানিয়ে গিয়েছে ।
চলতি মাসে কাশ্মীরে এই নিয়ে দুজন উচ্চশিক্ষিত জঙ্গি মারা গেল। ১১ অক্টোবর কুপওয়ারার হান্দওয়ারা অঞ্চলে নিহত হয় জঙ্গি মানান বাসির ওয়ানি। সে আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি করেছিল। চলতি বছরের শুরুতে জঙ্গি দলে যোগ দেয়।
Be the first to comment