পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নির্দেশে যথেষ্টই স্বস্তিতে চাকরি হারানো শিক্ষকরা। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে বরখাস্ত হওয়া ২৬৮ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ প্রত্যাহার করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সোমবার পর্ষদের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সেই বিজ্ঞপ্তিতে ওই চাকরি বাতিলের নির্দেশ প্রত্যাহারের কথা জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে ২৬৮ জন শিক্ষক চাইলেই স্কুলে যেতে পারবেন বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষকদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়নি, এই অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তারা। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি বিক্রম নাথের ডিভিশন বেঞ্চ কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের উপরে স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে বরখাস্ত শিক্ষকদের হলফনামা দিয়ে কেন তাঁদের নিয়োগ বৈধ তা ব্যাখ্যা করারও নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। ওই নির্দেশের পরে দীর্ঘদিন কেটে গেলেও বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকরা যেমন স্কুলে যোগ দিতে পারেননি, তেমনই বেতনও পাননি। ফলে ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ওই ২৬৮ শিক্ষক। এখনও সেই আবেদনের শুনানি হয়নি। তার মধ্যেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে ওই ২৬৮ শিক্ষকের চাকরি বাতিলের বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, প্রাথমিকে বেআইনিভাবে চাকরি হয়েছে, এই অভিযোগে ২৬৯ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। যদিও পরে একজনের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া হয়। সেই ২৬৮ জনের ভবিষ্যত কী হবে, সেই সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। তার মধ্যেই এদিন বিকেলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে ২২ জন জেলা বিদ্যালয় শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়, যাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছিল তাঁরা চাইলে স্কুলে যোগ দিতে পারবেন।
Be the first to comment