২২ ঘণ্টা পেরিয়েছে। কেটে গিয়েছে একটি রাত। হকের চাকরির দাবিতে সল্টলেকের এপিসি ভবনের সামনে লড়ছেন টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা। একদিকে যখন আন্দোলনকারীরা চাকরির দাবি জানিয়ে পথে আমরণ অনশন করছেন উল্টোদিকে তখন প্রাথমিকের এই চাকরি প্রার্থীদের ধর্নার বিরোধিতা করে হাইকোর্টে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। আন্দোলনের জেরে অফিসে ঢুকতে পারছেন না কর্মীরা। যার ফলে কোনও কাজ শুরু করা যাচ্ছে না অভিযোগ পর্ষদের। পাশাপাশি বোর্ডের কর্মীদের নিরাপত্তা দেওয়ার আবেদনও করেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। দ্রুত শুনানির দাবি জানিয়েছে বোর্ড। যদিও, শুনানির আর্জি খারিজ করেছেন বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।
এ দিন বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেন, ‘এত দ্রত শুনানির কী আছে? এতদিন আন্দোলন চলছে, আর একদিন চললে এমন কি অসুবিধা হবে?’ এরপরই পর্ষদের করা দ্রুত শুনানির আর্জি বাতিল করে দেন তিনি। মামলা করে আসারও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
বিক্ষোভরত এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, ‘আমারা শান্তিপূর্ণভাবে অনশন করছি। মানিক ভট্টাচার্য দুর্নীতি করেছেন। উনি জেলে গিয়েছেন। আজকে আমাদের রাস্তায় বসতে হচ্ছে ওনার জন্য। অনশন করতে হচ্ছে। বর্তমানে পর্ষদ সভাপতি গৌতম পালও আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করছেন। গোটা রাজ্যবাসী বুঝে গিয়েছে আমরা দুর্নীতির শিকার হয়েছি।’
আর এক আন্দোলনকারী বলেন, ‘পর্ষদের স্বাভাবিক অবস্থাতেও মানুষ ভিতরে ঢুকতে পারেন না। আমি একবার চিঠি নিয়ে ঢুকতে গিয়েছিলাম কিন্তু আমাকেও ঢুকতে দেওয়া হয়নি।’ অপর আন্দোলনকারী বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা অফিসের রাস্তা থেকে অনেকটা দূরে বসে রয়েছি। আজকে আমরা এখানে বসতে বাধ্য হয়েছি।’
Be the first to comment