আর্যতীর্থ –
তিক্তকথা বৃত্তাকারে ঘুরতে থাকে,
তোমার থেকে, আমার থেকে, শহর গঞ্জ খামার থেকে,
ঝাঁকে ঝাঁকে আসতে থাকে, বাড়াচ্ছে রোজ তিক্ততাকে,
মারকাটারি ঝগড়াগুলি নিয়ম করে যাচ্ছে গুঁজে যাপনফাঁকে,
পাতি কথায় মারামারি, ব্লক করে গ্রুপ ছাড়াছাড়ি,
তোমরা কেন দেখছো না কেউ মিষ্টি কথার আকালটাকে?
সবার ভুরু কুঁচকে আছে বিরক্তিতে,
এদিক থেকে ওদিক হলে, গলারা সব কলার তোলে,
ফণার মতন মেজাজ ফোলে, জিভচাবুকের ছোবল দিতে,
হিসহিসানো হুমকিচমক ধমকিয়ে দেয় বললে কথা বিপরীতে
ধৈর্য্য দিয়ে চুলোর দোরে, জিভ থেকে জিভ ঝগড়া ঘোরে,
অশিষ্টদের নষ্টকথায় ভদ্রতা যায় গাঙপানিতে।
এমন করে জীবন চলে, তুমিই বলো?
ব্যাঁকা কথার ছ্যাঁকার তাপে কেউ ডুবে যায় মনখারাপে,
কারো নরম জীবন চাপের নিত্য খোঁচায় টলোমলো।
বিষণ্ণতা সামলাতে রোজ কম পড়ে যায় চোখের জলও।
যে যার মতো পাঙ্গা নিলে, কথায় কথায় দাঙ্গা হলে,
ভেবে দেখো , আমি তুমি সে ,কেউ কি কোথাও থাকবো ভালো?
এসো তবে মিঠে কথায় ফের ফেরা যাক।
ভুলেই গেছি তেতোর ভিড়ে কথায় ভেজে অনেক চিঁড়ে
ঝাপসে আসা এই তিমিরে মিষ্টিকথা কষ্ট তাড়াক,
বুকের গোপন কষ্টগুলো ভাগীদারের কান খুঁজে পাক।
ঝগড়াবিহীন মধুর ভাষায় মনগুলো সব বাঁচুক আশায়,
‘ সাথেই আছি’ সে ভরসাটা সবাই আবার কথায় ফেরাক।
Be the first to comment