বৃহস্পতিবার রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন শিবসেনা প্রধান তথা মহারাষ্ট্রের সদ্য নিযুক্ত মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। এ দিন সন্ধ্যে ৬টা ৪০ মিনিটে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে সবাইকে অভিনন্দন জানান তিনি। এরপর রাত ১০টা নাগাদ একটি সাংবাদিক বৈঠক ডাকেন তিনি। এই বৈঠকে মহারাষ্ট্রের মানুষদের সুন্দর এবং স্থায়ী সরকার দেওয়ার পাশাপাশি এই সরকার সাধারণ মানুষের হয়ে কাজ করবেন বলে জানান উদ্ধব। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি মূল দু’টি বিষয়ে তুলে প্রাথমিকভাবে তুলে ধরেন।
মহারাষ্ট্রে কৃষকদের সমস্যা বহুদিনের। কৃষিঋণ মুকুব-সহ একাধিক বিষয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন রাজ্যের কৃষকরা। এই নিয়ে আন্দোলনেও নামেন তাঁরা। চাপে পড়ে এরপরেই বেশ কিছু যোজনা বা স্কিমের সূচনা করেছিল তৎকালীন বিজেপির দেবেন্দ্র ফডণবীসের সরকার। এবারে সেই সব যোজনার খতিয়ান চাইবে শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেসের সরকার। এ দিনের বৈঠকে এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে।
এ দিনের সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, আমাদের সরকার কৃষকদের ভাল-মন্দের দিকগুলি খতিয়ে দেখবে। অসময়ে বৃষ্টি হওয়াতে রাজ্যের বহু কৃষকের অবস্থা শোচনীয় হয়ে গিয়েছে। আমাদের এই নতুন সরকার কৃষকদের সরকার। আগের বিজেপির সরকার এই রাজ্যের কৃষকদের জন্য যা যা যোজনা করেছিল তাতে কৃষকদের কী লাভ হয়েছে সে বিষয়ে আমরা তথ্য চাইব। এরপরেই হুঁশিয়ারির সুরে তিনি বলেন, তথ্য হাতে এলেই আমরা সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।
সূত্রের খবর আগামী দু’দিনের মধ্যে কৃষকদের যোজনার বিষয়ে যাবতীয় তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছেন উদ্ধব। কৃষকদের বিষয় ছাড়াও চাওয়া ছাড়াও মহারাষ্ট্রে রায়গড় অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নের জন্য মোট ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই রায়গড়ই মহারাষ্ট্রের মহারাজা ছত্রপতি শিবাজির রাজধানী হিসাবে পরিচিত ছিল। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা ক্যাবিনেট মিটিং-এ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে রায়গড়ের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে আমরা মোট ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছি।
এই ঘোষণার মাঝেই এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন শিবসেনা কি একটি সেকুলার দল? এই প্রশ্নের জবাবে সেনাপ্রধান বলেন, সেকুলার মানে কি? সংবিধানে যা আছে তাই আমাদের দল তাই। প্রায় দেড় মাসের নাটক শেষে বিজেপির মরিয়া চেষ্টাকে ব্যর্থ করে জোট সরকার হিসাবে শপথ নেয় শিবসেনা-কংগ্রেস-এনসিপি। আর এই জোট সরকারের মুখ হিসাবে উঠে আসেন উদ্ধব। কৃষক সমস্যা থেকে বেকারত্ব উদ্ধবের সামনে এখন একের পর এক চ্যালেঞ্জ।
Be the first to comment