জোট সরকারের ধর্ম নিরপেক্ষতার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে প্রশ্ন উঠতেই অস্বস্তিতে পড়লেন উদ্ধব ঠাকরে। মহারাষ্ট্রের সদ্য মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পরেই জোট সরকারের সাংবাদিক বৈঠকে ধর্ম নিরপেক্ষতার নিয়ে অস্বস্তিকর প্রশ্ন ধেয়ে আসে তাঁর দিকে। সংবিধান মেন চলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি উত্তর সামাল দেবার চেষ্টা করেন। মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পরে বৃহস্পতিবার প্রথম সাংবাদিক বৈঠকে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয় কংগ্রেস ও NCP-র সঙ্গে জোট বাঁধার পর শিবসেনা কি ধর্মনিরপেক্ষতাকে গ্রহণ করল?
উগ্র হিন্দুত্ববাদী দল হিসাবে শিবসেনার নাম বারবার উঠে এসেছে। সেখানে কংগ্রেস ও NCP তাদের ধর্ম নিরপেক্ষতা নীতি বজায় রাখে। সাংবাদিক বৈঠকে এই প্রশ্ন উদ্ধবকে যথেষ্ট অস্বস্তিতে ফেলে। উদ্ধব পাল্টা প্রশ্ন করেন, ধর্ম নিরপেক্ষতার বলতে কী বোঝায়? সংবিধানে যা লেখা আছে।
শিবাজি পার্কে উদ্ধব ঠাকরের শপথ নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে জোটের নেতারা সাংবাদিক বৈঠকে ধর্ম নিরপেক্ষতার উপর জোর দেওয়ার কথা বলেছিলেন। অথচ এই জোটের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের দল শিবসেনা তাঁদের উগ্র হিন্দুত্ব নিয়ে সারা দেশেই সমালোচিত। মুখ্যমন্ত্রীত্বের ভাগাভাগি নিয়ে বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয় শিবসেনার। এর পরেই সেনা কংগ্রেস ও NCP-এর সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার গড়ার প্রস্তুতি চালায়।
উগ্র হিন্দুত্বকে অবলম্বন করেই মহারাষ্ট্রে সেনা ক্ষমতার রাজনীতি করেছে বলে রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা। তাছাড়া মহারাষ্ট্রে মারাঠিদের জন্য বলেও প্রচার করে শিবসেনা। ইতিমধ্যে সরকারে প্রতিষ্ঠিত হয়ে উদ্ধব ঠাকরে মহারাষ্ট্রে সরকারি কাজে ৮০ শতাংশ সংরক্ষণের কথা ঘোষণা করেন। কংগ্রেস ও NCP-এর কখনই কোনও বিশেষ ধর্মকে প্রাধান্য দেয়নি। এই দিক থেকে দেখলে শিবসেনার কংগ্রেস ও NCP-র সঙ্গে জোট নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। তাই আগামী দিনে শিবসেনা তা কিভাবে সামাল দেয় তা নিয়ে তাকিয়ে গোটা দেশ।
Be the first to comment