‘দারুন গরম ভাই বৈশাখ মাস
তেষ্টায় জল খাই গেলাস গেলাস’।
প্রতি মঙ্গলবার তৃষ্ণার শান্তি বিভাগে থাকবে গরমে আরাম পাওয়ার খাবারের রেসিপি। আজ এমনই আপনাদের তৃষ্ণার শান্তি মেটাতে হাজির মৌসুমী রায় সরকার। রেসিপি পড়ুন, আর চটপট এই গরমে তৈরি করুন “ঠাণ্ডাই”। সেই সঙ্গে জানান আপনাদের মুল্যবান মতামত।
“ঠাণ্ডাই”- মৌসুমী রায় সরকার
উপকরণ : দুধ ১ লিটার, আমন্ড ১৫/১৬ টা (২ ঘন্টা ধরে আগে থেকে জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে) কাজু বাদাম ১৫/২০ টা (2 ঘন্টা ধরে আগে থেকে ভিজিয়ে রাখতে হবে ), পেস্তা ২ টেবিল চামচ (২ ঘন্টা আগে থেকে ভিজিয়ে রাখতে হবে), পোস্ত ২ টেবিল চামচ (আগে থেকে ভিজিয়ে রাখতে হবে ), চালমগজ ২ টেবিল চামচ (আগে থেকে ভিজিয়ে রাখতে হবে), ৩ টেবিল চামচ মৌরি, ৫/৬ টি এলাচ, দারচিনি ১ টুকরো, ১০/১২ টা গোলমরিচ, কেশর ১/২ চা চামচ, চিনি ১ কাপ, গোলাপ জল সামান্য।
প্রণালী : প্রথমে একটা পাত্রে চাল মগজ, মৌরি, ভেজানো পোস্ত, কাজু, আমন্ড, পেস্তা, দারচিনি, এলাচ, গোলমরিচ সব ঢেলে দিয়ে তাতে হাল্কা গরম জল এক কাপ মত দিয়ে এক ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে দিতে হবে। এক ঘন্টা ভিজিয়ে রাখার পর মিক্সিতে একটা ঘন পেস্ট তৈরী করতে হবে। তারপর কড়াইতে দুধ গরম করে তাতে চিনি দিতে হবে। তারপর খানিকক্ষণ ফোটানোর পর ২ চিমটি কেশর দিতে হবে। তারপর আবার ৫ মিনিট মতো ফোটাতে হবে।
এরপর আঁচটা একদম কমিয়ে ঐ পেস্টটা দিয়ে দিতে হবে ঐ ফুটন্ত দুধের মধ্যে। ঠান্ডাইএর ঘনত্ব অনুযায়ী পেস্ট দিতে হবে অর্থাৎ একটু বেশি ঘন চাইলে বেশি পেস্ট আর হালকা ঘন চাইলে অল্প পেস্ট দিতে হবে। এক্ষেত্রে ৫ টেবিল চামচ মত পেস্ট যোগ করা হয়েছে। আর আঁচ একদম কম করে রাখতে হবে এই সময়। এই কম আঁচে ভালো ভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। আর মিশ্রণ সহ দুধ টা ভালো করে ফুটিয়ে নিতে হবে। তারপর ফোটানো হয়ে গেলে শেষে গোলাপ জল দিতে হবে সামান্য পরিমানে।
তারপর আবার একটু ফুটিয়ে নিতে হবে। তারপর গ্যাস অফ করে ঠান্ডা করে নিতে হবে। এবার একটা কাঁচের পাত্রে ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে ঢেলে নিতে হবে ঠান্ডাই টা। যাতে মুখে দানা দানা কিছু না পড়ে। তারপর ছেঁকে রাখা কাঁচের পাত্রের ঠান্ডাই টা ফ্রীজে রেখে দিতে হবে ২/৩ ঘন্টা। তারপর ২/৩ ঘন্টা পর ফ্রীজ থেকে বের করে কাঁচের গ্লাসে ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করতে হবে ঠান্ডাই। ওপর দিয়ে পেস্তা কুচি আর আমন্ড কুচি আর কেশর আর বরফ কুচি ছড়িয়ে সার্ভ করতে হবে।
Be the first to comment