চিরন্তন ব্যানার্জি, কলকাতঃ চৌত্রিশ বছরের বাম শাসনের পতন ঘটিয়ে এগারো সালে বাংলার মসনদে বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিপুল শক্তিতে ক্ষমতায় আসার পরই একাধিক সামাজিক প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারই অন্যতম কন্যাশ্রী প্রকল্প।
২০১৩ সালে মার্চ মাসে এই প্রকল্পের সূচনা করেন তিনি। তারপর ২০১৩ সালের ১৪ অগস্ট প্রথম বার রাজ্য সরকারের তরফে কন্যাশ্রী দিবস পালিত হয়। বুধবার এ ব্যাপারে তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে পোষ্ট করে রাজ্যের কন্যাশ্রীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কবিতার চারটি লাইন উল্লেখ করে লিখেছেন, বিশ্ব দরবারে রাজ্য সরকারের এই প্রকল্প কী ভাবে প্রশংসিত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, এই সামাজিক প্রকল্প ইউনেস্কো থেকে শিরোপাও পেয়েছে। টুইটে সেই প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, “গরিব-বড়লোক নির্বিশেষে রাজ্যের সব মেয়ে এখন কন্যাশ্রী! এই শুভদিনে আমার কন্যাশ্রীদের বলবো, তোমরা এগিয়ে যাও। নিজের নিজের স্বপ্ন পূরণ করো। তোমাদের যে কোনো দরকারে আমি তোমাদের পাশে আছি।”
“আমার সরস্বতী কন্যাশ্রী
ভবিষ্যতের ভাগ্যশ্রী,
আমার সরস্বতী আঁধারেও আলো,
সারা বিশ্বে বিশ্বশ্রী।”আজ কন্যাশ্রী দিবস। আমার প্রত্যেক কন্যাশ্রীকে জানাই আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
২০১৩ সালে আমরাই এটা চালু করেছিলাম। UNESCO তে সেরার শিরোপা পেয়ে সেই কন্যাশ্রী আজ বিশ্বজয়ী।…
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) August 14, 2024
প্রসঙ্গত, বাল্যবিবাহ রুখতে এবং মেয়েদের পড়াশোনার অগ্রগতির লক্ষ্যে স্কুলের ছাত্রীদের জন্য কন্যাশ্রী প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য। এই প্রকল্পে স্কুলস্তরে একজন ছাত্রীকে এককালীন ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। ধনী, দরিদ্র নির্বিশেষে সরকারি স্কুলের সব ছাত্রীই স্কুলজীবনে একবার (একাদশ শ্রেণিতে) এই আর্থিক অনুদান পেয়ে থাকেন। পাশাপাশি এই দিনে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের কৃতীদের সংবর্ধনা দেন মুখ্যমন্ত্রী।
Be the first to comment