
রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- পুর বাজেটে ঢুকে পড়ল কুম্ভের জল! সোমবার পুর বাজেট নিয়ে শাসক তৃণমূল ও বিরোধী বিজেপি কাউন্সিলরদের আলোচনা চলছিল। কিন্তু আচমকা তাল কাটল ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর মীনা দেবী পুরোহিতের বক্তব্যে। ওই কাউন্সিলর বলেন কুম্ভের ব্যবস্থাপনা থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত। ব্যস! রে রে করে ওঠেন কাউন্সিলর চৈতালী চট্টোপাধ্যায়, অরূপ চক্রবর্তীর মত শাসকদলের কাউন্সিলরা। পাল্টা বিজেপি কাউন্সিলর বিজয় উপাধ্যায়, মিনাদেবী পুরোহিত, সজল ঘোষরা আসন ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। হট্টগোলের মধ্যেই সজল ঘোষকে চিৎকার করে বলতে শোনা যায় “বেশি বলবেন না। কারা কবে কুম্ভে স্নান করতে গিয়েছিলেন সব বলে দেব।” নিমেষের মধ্যে তুমুল হট্টগোল শুরু হয়ে যায় পুর বাজেট অধিবেশনে।
কাউন্সিলর অরূপ চক্রবর্তী বলতে উঠেই কুম্ভের অব্যবস্থা নিয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেন তিনি। তার অভিযোগ, পুর বাজেট অধিবেশনে কুম্ভ নিয়ে আলোচনা কেন? পুরসভার বাজেট অধিবেশনে কুম্ভ নিয়ে বিষয় তোলার অর্থই হয় না। কিন্তু বচসা ও বাকবিতন্ডা চলতে থাকে। কুম্ভের অব্যবস্থা নিয়ে সরব হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে বিরোধী বিজেপির কাউন্সিলররা। কক্ষের বাইরে বেরিয়ে বিজেপিকে নিশানা করে অরূপ চক্রবর্তীর অভিযোগ কলকাতা পুর সভার বাজেটকে সাম্প্রদায়িকতা ছুরে দিতে চাইছে বিজেপির কাউন্সিলররা। তাই তারা কলকাতা পুর সভার বাজেটে কুম্ভ নিয়ে কথা তুলছেন। তাঁর আরও অভিযোগ, মোদী-যোগীর হাতে হিন্দুরাও অরক্ষিত। কয়েকশো মানুষ মারা গেছেন। অনেকেরই খোঁজ নেই। আর এরা হিন্দুত্ব নিয়ে বড়াই করছেন! আমরা যেমন কুম্ভের স্নানে যাই আবার ঈদের সময় মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বাড়ি যাই। আনন্দে মেতে উঠি।” তাঁর অভিযোগ কুম্ভ কি বিজেপির সম্পত্তি। সেখানে কি বিজেপির ছাড়া কেউ যেতে পারবে না? প্রশ্ন অরূপ চক্রবর্তীর।
অন্যদিকে বিজেপির অভিযোগ, অর্ধেক তৃণমূলের প্রতিনিধি কুম্ভ স্নান করে এসেছে। তাদের কি চর্ম রোগ হয়েছে। পেট খারাপ করেছ?
এদিন অধিবেশন কক্ষের মধ্যে সজল ঘোষ পুরসভার চেয়ারপারসন মালা রায়কে অভিযোগ করেন অরূপ চক্রবর্তী একটি বিশেষ ধর্মের মানুষের ধার্মিক ভাবাবেগকে আঘাত করেছেন। এরপরই চেয়ারপার্সন মালা রায়ের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুললেন সজল ঘোষ। তার অভিযোগ বার বার মালা রায়কে অভিযোগ জানানো হলেও তিনি আমাদের অভিযোগে কর্ণপাত করেন নি।
Be the first to comment