
রোজদিন ডেক্স: রাজ্য সরকার থেকে ক্ষমতা হাতছাড়া হওয়ার ১৪ বছর পার হতে চলল। নির্বাচনী ময়দানে আসন সংখ্যার নিরিখে ছ’বছর আগে থেকেই শূন্যে পৌঁছে গিয়েছে সিপিএম। ভোটে জমানত বাজেয়াপ্ত হওয়াও ক্রমশ ‘স্বাভাবিক’ হয়ে উঠছে কাকাবাবুর দলের কাছে। এই পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে তরুণ প্রজন্মকে সামনে নিয়ে আসার কথা প্রায়ই শোনা যায় আলিমুদ্দিনের নেতাদের মুখে। কিন্তু তাঁদের মুখের কথার কি বাস্তবে প্রতিফলিত হচ্ছে? সিপিএমের নতুন রাজ্য কমিটিতে থাকা নামগুলি দেখলে উত্তর অবশ্যই নেতিবাচক বলেই মনে হবে।
সিপিএমের ২৭তম রাজ্য সম্মেলনে মঙ্গলবার নতুন রাজ্য কমিটি তৈরি হয়েছে। সেখানে ঠাঁই পেয়েছেন ৮০ জন। সেই কমিটির প্রথম বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে মহম্মদ সেলিমকেই আবার রাজ্য সম্পাদক হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। নতুন মুখ হিসেবে রয়েছেন ১১ জন৷ বয়সজনিত কারণে বেশ কয়েকজন বাদ পড়েছেন। গতবারের থেকে এবার বেড়েছে মহিলা সদস্যর সংখ্যা।

বয়সজনিত কারণে বাদ পড়লেন রাজ্যসভার সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, সুখেন্দু পানিগ্রাহী, অশোক ভট্টাচার্য, জীবেশ সরকার। জীবেশ সরকারের জায়গায় গৌতম ঘোষ রাজ্য কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন। একই সঙ্গে মেদিনীপুরের ‘দোর্দণ্ডপ্রতাপ-বিতর্কিত’ নেতা সুশান্ত ঘোষকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তাঁর জায়গায় পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা সম্পাদক বিজয় পাল রাজ্য কমিটির সদস্য হয়েছেন। বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র, অমিয় পাত্র, রবীন দেব, জীবেশ সরকার মিলিয়ে পাঁচ প্রবীণ নেতা বিশেষ আমন্ত্রিত সদস্য হিসেবে থাকছেন।
উত্তর ২৪ পরগনার বিদায়ী জেলা সম্পাদক মৃণাল চক্রবর্তীকে রাজ্য কমিটিতে রাখা হয়েছে। যদিও এবারের জেলা সম্মেলনে তিনি জেলা কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন। বয়স, মহিলা, সামাজিক বিন্যাস, এলাকাগত বিন্যাস ইত্যাদি বিবেচনায় রেখে নতুন রাজ্য কমিটি গঠিত হয়েছে সিপিএমের।
গতবারের রাজ্য কমিটিতে ৯ জন মহিলা সদস্য ছিলেন। এবার ৫ জন বৃদ্ধি পেয়ে ১৪ জন হয়েছে। সব মিলিয়ে মোট ১১ জন নতুন মুখ রাজ্য কমিটিতে স্থান পেয়েছেন। যে ১১ জন নতুন কমিটিতে নতুন করে জায়গা পেলেন, তাঁরা হলেন – ফৈয়াজ আহমেদ খান, সোমনাথ সিংহরায়, জাহানারা খান, ইন্দ্রজিৎ ঘোষ, রতন বাগচী, বিজয় পাল, পীযূষ মিশ্র, তীর্থঙ্কর রায়, শুকুল সিকদার, কেনিজ রবিউল ফতিমা (আলেয়া), গৌতম ঘোষ ও শান্তনু দে। তবে নতুন কমিটিতে জায়গা হল না কলতান দাশগুপ্তর।
Be the first to comment