
রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- প্রয়াত হলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রেজ্জাক মোল্লা। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। ভাঙড়ের বাকড়ি গ্রামে নিজের বাড়িতেই শুক্রবার সকালে জীবনাবসান হয় রাজনৈতিক মহলে পরিচিত ‘চাষার ব্যাটা’র। বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছিলেন দীর্ঘদিন ধরেই।
১৯৭২ সালে ভাঙড় বিধানসভা থেকে সিপিএমের টিকিটে জিতে বিধায়ক হন রেজ্জাক মোল্লা। ১৯৭৭ সালে ক্যানিং পূর্ব বিধানসভা থেকে জিতে রাজ্যের মন্ত্রী হন। বাম আমলে মন্ত্রী হিসাবে ভূমি সংস্কার, সুন্দরবন উন্নয়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের দায়িত্ব সামলেছেন দীর্ঘদিন। ২০১৪ সালে দলবিরোধী কথা বলার কারণে তাঁকে বহিষ্কার করে সিপিএম। এরপর ২০১৬ সালে যোগ দেন তৃণমূলে। বিধানসভা নির্বাচনে ভাঙড় থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সেবার ভোটে জয়ীও হন রেজ্জাক মোল্লা। তৃণমূলের শাসনকালে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দপ্তরের মন্ত্রীও ছিলেন তিনি।
ভাঙড়ের বাঁকড়ি গ্রামের ভূমিপুত্র রেজ্জাক মোল্লা নিজেকে বরাবর পরিচয় দিতেন ‘চাষার ব্যাটা’ বলে। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সতীর্থ ছিলেন। তবে তাঁর সঙ্গে মতবিরোধও ছিল। সিঙ্গুর আন্দোলনের সময় রেজ্জাক মোল্লা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে বলেছিলেন, “হেলে ধরতে পারে না, কেউটে ধরতে এসেছে।” বুদ্ধবাবুর মৃত্যুর সময় অশীতিপর রেজ্জাক মোল্লা দুঃখপ্রকাশ করেন। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী।
রেজ্জাক মোল্লার প্রয়াণে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাক্তন মন্ত্রীর কর্মজীবনের প্রশংসা করে তাঁর পরিবারবর্গ, অসংখ্য অনুগামী ও শুভানুধ্যায়ীকে আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
বর্ষীয়ান রাজনীতিকের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ রাজনৈতিক মহল। ইতিমধ্যে তাঁর বাড়িতে ভিড় জমিয়েছেন নেতা-কর্মীরা। বেঁচে থাকাকালীন প্রায়শয়ই রেজ্জাক মোল্লার মুখে শোনা যেত, মরলে ভাঙড়ের বাঁকড়ির বাড়িতেই যেন কবর দেওয়া হয় তাঁকে। পরিবার সূত্রে খবর, শেষ ইচ্ছার কথা মাথায় রেখে ওই বাড়িতেই সম্ভবত সমাধিস্থ করা হবে রেজ্জাক মোল্লাকে।
Be the first to comment