খালিদের পাতা ফাঁদে আটকে গেল সবুজ মেরুন ব্রিগেড! জামশেদপুরের বিরুদ্ধে ২-১ গোলে হার মোহনবাগানের

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- প্রত্যাঘাতে প্রত্যাবর্তন। চলতি আইএসএলের শেষ চারের প্রথম লিগে অপ্রতিরোধ্য মোহনবাগান সুপারজায়ান্ট। কিন্তু, বৃহস্পতিবার সেমিফাইনালের প্রথম পর্বে শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে হারতে হল আইএসএলের লিগ-শিল্ডজয়ীদের। কারণ প্রতিপক্ষের প্রতি আক্রমণের চক্রব্যূহে হোসে মোলিনার ছেলেরা দিগভ্রষ্ট। জামশেদপুরে হাজার কুড়ি দর্শকের সামনে জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে পরাজিত সবুজ মেরুন। ম্যাচের ফল ২-১।
জেসন কামিংসের দুরন্ত ফ্রিকিকও হার বাঁচাতে পারল না। যে ফুটবল গোটা আইএসএলে তারা খেলেছে, এ দিন জামশেদপুরে সেই চেনা মোহনবাগানকে পাওয়া গেল না। সবুজ-মেরুনের হারে ‘অবদান’ থাকল বাংলার ছেলে ঋত্বিক দাসের, যিনি দ্বিতীয়ার্ধে পরিবর্ত হিসাবে নেমে জাভিকে দিয়ে গোল করালেন। মনবীর সিংহ এবং আপুইয়াকে ছাড়াই খেলতে নেমেছিল মোহনবাগান। দুই ফুটবলারই দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। রিজার্ভ বেঞ্চে ছিলেন দিমিত্রি পেত্রাতোস এবং জেমি ম্যাকলারেন।
জামশেদপুরের কোচ খালিদ জামিল আইএসএলে বিদেশি কোচেদের ভিড়ে ধূর্ততম ভারতীয় কোচ। ঘরের মাঠে প্রতিপক্ষ মোহনবাগান সুপারজায়ান্টকে আটকাতে গ্রেগ স্টুয়ার্টকে নজরবন্দি করেন। তা সত্ত্বেও সবুজ মেরুন আক্রমণের দাপট ছিল যথেষ্ট।
ম্যাচের শুরুতেই পেনাল্টি পেতে পারত জামশেদপুর। নিখিল বারলার শট লাগে আশিস রাইয়ের হাতে। জামশেদপুরের ফুটবলারেরা পেনাল্টির আবেদন করলেও রেফারি তাতে কর্ণপাত না করে কর্নার দেন, যা সহজেই ক্লিয়ার করে দেয় মোহনবাগান। ম্যাচের ২৪ মিনিটে মহম্মদ উবেশ যাদবের লম্বা থ্রো বক্সের মধ্যে স্টিফেন এজে ধরে সিভেরিওকে বাড়িয়ে দেন। স্প্যানিশ স্ট্রাইকার গোল করতে ভুল করেননি। পিছিয়ে পড়ার ধাক্কা সামলে মোহনবাগান একের পর এক আক্রমণ সানাতে থাকে। ৩৮ মিনিটে সমতায় ফেরায় সবুজ মেরুন ব্রিগেড। বক্সের বাইরে থেকে দুরন্ত ফ্রিকিকে দলকে সমতায় ফেরান কামিন্স। স্টুয়ার্টের সঙ্গে কামিন্সকে জুড়ে আক্রমণ সাজিয়েছিলেন মোলিনা। কিন্তু খালিদ জামিলের রক্ষণাত্মক ছকের সামনে বারবার যাবতীয় আক্রমণ প্রতিহত হতে থাকে। অন্তত সাতজন ফুটবলার নিজেদের অর্ধে দাঁড়িয়ে সবুজ মেরুন আক্রমণকে রুখে দিচ্ছিলেন। বিরতির পরে মোহনবাগান আক্রমণের ঝড় তোলে। এই সময় একের পর আক্রমণ কোনওরকমে রুখে দিচ্ছিল জামশেদপুর রক্ষণ।
মনে হচ্ছিল মোহনবাগানের গোল পাওয়া সময়ের অপেক্ষা। এই সময় পেত্রাতোস ও ম্যাকলারেনকে নামালেও মোলিনার কৌশল ব্যর্থ। কড়া নজরদারিতে দুই ফুটবলাররাই কাজের কাজটি করতে পারেননি। ফের প্রতি আক্রমণে বাজিমাত খালিদ জামিলের। ম্যাচের সংযোজিত সময়ে ঋত্বিক দাসের ব্যাকসেন্টার থেকে বল পেয়ে দলের জয়সূচক গোলটি করে যান জাভি হার্নান্দেজ।
উল্লেখ্য, দ্বিতীয় লিগে মোহনবাগান সুপারজায়ান্ট ৭ এপ্রিল ঘড়ের মাঠ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ফের জামশেদপুর এফসির মুখোমুখি হবে। ওই ম্যাচই লিগ শিল্ড জয়ীদের লাইফলাইন। ইতিমধ্যে বেঙ্গালুরু এফসি ২-০ গোলে এফসি গোয়াকে হারিয়ে আইএসএল ফাইনালে যাওয়ার পথে এগিয়ে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*