ফেরিওয়ালাকে পিটিয়ে খুন করে ছাদে লুকিয়ে রাখল বাড়ির লোক, সোদপুরের অমানুষিক হত্যাকান্ড

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- সোদপুরের সুখচর এলাকার বাজারপাড়ায় রীতিমতো হাড়হিম করা এক হত্যাকাণ্ড! অভিযোগ, ফেরিওয়ালাকে পিটিয়ে খুনের পর বাড়ির ছাদে দেহ লোপাট করে রেখেছিল অভিযুক্ত। পরে বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়তেই প্রতিবেশীরা বিষয়টি জানান খড়দহ থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধারের পাশাপাশি গ্রেপ্তার করা হয়েছে যুবককে। ছেলে গ্রেপ্তার হতেই বাড়ি ছেড়ে মা পালিয়েছেন বলে অভিযোগ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুখচর এলাকায় টিনভাঙা, লোহাভাঙা বিক্রি করতেন কামারহাটির বাসিন্দা আক্রাম আলি। সুখচরের বাসিন্দা চিরাগ গুহর সঙ্গে তাঁর আলাপ ছিল। দিনকয়েক আগে আক্রামের কাছ থেকে আড়াই হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন চিরাগ। সেই টাকা চাইতে চিরাগের বাড়িতে যান ফেরিওয়ালা। টাকা ফেরত দেওয়া দূরের কথা, চিরাগ তাঁর উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। বাড়িতে ঢুকিয়ে প্রথমে মারধরের পর গলায়, মুখে তার পেঁচিয়ে আক্রামকে নৃশংসভাবে খুনের অভিযোগ ওঠে চিরাগের বিরুদ্ধে।

এলাকার বাসিন্দা শ্রাবণী দাস, বিশ্বজিৎ মজুমদাররা জানান, রবিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ওই বাড়ি থেকে ‘বাঁচাও বাঁচাও’ বলে চিৎকার শোনা যায়। তাঁরা বাড়ি থেকে বেরিয়ে কাউকে দেখতে না পেয়ে চিরাগের মাকেই জিজ্ঞাসা করেন, কী হয়েছে? তাতে উত্তর পান, ছেলেকে কুকুরে কামড়েছে। তা শুনে আর কেউ বাড়ির ভিতরে ঢোকেননি। পরে গন্ধ পেয়ে তাঁদের সন্দেহ হয়। খড়দহ থানায় খবর দেন। পুলিশ চিরাগদের বাড়িতে গিয়ে দেখে, দোতলার ছাদের এক কোণায় বস্তা চাপা দেওয়া মৃতদেহ। তার গলায়, মুখে তার পেঁচানো। দেহ উদ্ধার করে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। বিশ্বজিৎ মজুমদারের দাবি, যেহেতু ওই বাড়ি থেকে দেহটি উদ্ধার হয়েছে, তাই চিরাগকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে সে-ই খুনি কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে তাঁদের।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*