রোজদিন ডেস্ক:-
কলকাতা হাই কোর্টে ফের ধাক্কা সন্দীপ ঘোষের। রেজিস্ট্রেশন বাতিলের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ। ওই মামলায় এখনই হস্তক্ষেপ করল না আদালত।
মামলাকারী সন্দীপ ঘোষ জরুরি ভিত্তিতে এই মামলার শুনানির আর্জি জানান। তবে সন্দীপের আবেদন ফিরিয়ে দিলেন বিচারপতি পার্থসারথী সেন। তিনি জানান, এই মামলায় এখনই জরুরি ভিত্তিতে শুনানির কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই।
গত ৯ আগস্ট, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। ওই ঘটনার পর থেকেই তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বরখাস্তের দাবি ওঠে। দিনকয়েকের মধ্যে ঘটনার ‘নৈতিক দায়’ স্বীকার করে পদত্যাগ করেন সন্দীপ। দফায় দফায় ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর সন্দীপ ঘোষকে গ্রেপ্তার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গ্রেপ্তারির পর তাঁকে শোকজ করেছিল মেডিক্যাল কাউন্সিল। সন্দীপকে বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিল ১৯১৪, সাবসিকোয়েন্ট অ্যামেন্ডমেন্ট ২৫(এ)(২) অ্যাক্ট-এর অ্যাপ্লায়েড মেডিক্যাল কাউন্সিল ৩৭(৩) ধারায় শোকজ করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল নোটিস ইস্যু করার তিন দিনের মধ্যে জবাব দিতে হবে। জবাব না দিলে অথবা সন্তোষজনক না হলে তার রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হবে। নিয়মানুযায়ী, কোনও চিকিৎসক অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত হলে এবং ভয়ঙ্কর অপরাধমূলক কোনও ঘটনার সঙ্গে নাম জড়ানোয় সমাজে যদি অভিযুক্তের মারাত্মক বদনাম হয়, তবে রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়। সেই মতো রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে সন্দীপ ঘোষের রেজিস্ট্রেশন বাতিলের সিদ্ধান্ত জানানো হয়। তবে অভিযুক্ত যদি ক্লিনচিট পেয়ে যান রেজিস্ট্রেশন ফিরিয়ে দেওয়াই নিয়ম। ওই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন সন্দীপ। তড়িঘড়ি শুনানির আর্জিও জানান। তবে সেই আর্জি ফিরিয়ে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। অন্যদিকে, আর জি কর হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় জেলে গিয়ে সন্দীপ ঘোষ, আফসার আলি ও বিপ্লব সিংকে জেরা করতে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে গিয়েছেন ইডির চার আধিকারিক।
Be the first to comment