বাম জামানার মন্ত্রী এবার হাত ছেড়ে মমতার সরকারের বিশেষ দফতরের মুখ্য উপদেষ্টা হলেন

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক :- রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী এবং আমডাঙার প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক আবদুস সাত্তার এবার হাত ছেড়ে জোড়াফুলে। সাত্তার সাহেব অবশ্য এখনই তৃণমূলের দলীয় পতাকা হাতে তোলেননি। বরং তাঁকে প্রশাসনিক পদে রাজনৈতিক ভাবে নিয়োগ করা হয়েছে। সংখ্যালঘুদের উন্নয়নের বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্য উপদেষ্টা হিসাবে সাত্তারকে নিয়োগ করল নবান্ন।
বাম জমানায় সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন সাত্তার। এবার সেই দফতরেরই মুখ্য উপদেষ্টা পদে নিয়োগ করা হয়েছে তাঁকে। একজন প্রতি মন্ত্রীর সমতুল মর্যাদা পাবেন আবদুস সাত্তার।


২০১৭ সালে সিপিএমের সঙ্গ ত্যাগ করে সোমেন মিত্রের হাত ধরে কংগ্রেসে যোগ দেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলার নেতা তথা অধ্যাপক সাত্তার। এবার রাজ্যের ৬টি বিধানসভা আসনে উপ নির্বাচনের আগেই মমতার সরকারের সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের মুখ্য উপদেষ্টা পদে আসিন হলেন তিনি।
বাংলায় উৎসব পর্ব মেটার পর মঙ্গলবার ফের সরকারি অফিস খুলেছে। এদিন সাত্তারকে নিয়োগের ব্যাপারে যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে তা অতন্ত্য তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তবে পর্যবেক্ষকদের মতে, বৃহৎ ছবিটা আসলে ছাব্বিশের। বাংলায় সংখ্যালঘুদের মধ্যে তৃণমূলের জনভিত্তি অটুট রয়েছে। তা বেশ মজবুতও বটে। কিন্তু ঘটনা হল, তৃণমূলে যুৎসই সংখ্যালঘু নেতা নেই। ফিরহাদ হাকিম রাজ্যের বড় মন্ত্রী হলেও, অতীতে আমতা বা বগটুইয়ের ঘটনায় রাজনৈতিক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে তাঁর ব্যর্থতা বেশ প্রকট হয়ে পড়েছিল। তাই দলের মধ্যেই একাংশের দাবি ছিল যে সংখ্যালঘুদের নেতৃত্ব দেওয়ার ব্যাপারে উদ্দ্যমী মুখের প্রয়োজন।
অন্যদিকে, হাত ছাড়ার পরই প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র সৌম্য আইচ কটাক্ষ করে বলেন, “অনেকদিন ক্ষমতার বাইরে থেকে উনি হাঁপিয়ে উঠেছিলেন বোধ হয়। তাই ন্যায় নীতিহীন সুবিধাবাদি এই আত্মসমর্পণ। কংগ্রেস করতে অনেক শক্ত মেরুদণ্ড আর ত্যাগ-তিতিক্ষা লাগে যেটা আমাদের হাজার হাজার কর্মী অন্যায়ের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াইয়ে প্রমাণ করেছেন; আমাদের দলে এসবের কোন প্রভাব পড়বে না।”
তবে এই নয়া নিয়োগ ও বদলের মরশুমে আরও একটি তত্ত্ব ঘোরাফেরা করতে শুরু করেছে। অনেকে মনে করছেন, আবদুস সাত্তারকে বেছে নেওয়া ও তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টার মতো পদে বসানোর নেপথ্যে আই প্যাকের গবেষণা ও সুপারিশ রয়েছে। হয়তো সেটা মেনে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*