বউবাজারে মেট্রো বিপর্যয়ে ভেঙে পড়া ২৩টি বাড়ি তৈরির নকশায় অনুমোদন মেয়রের…

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক:-

বউবাজার মেট্রো বিপর্যয়ে ভেঙে পড়া ২৩টি বাড়ি তৈরির নকশায় অনুমোদন দিতে চলেছে কলকাতা পুরনিগম। আগামী শুক্রবার মেয়র পারিষদ বৈঠক করে এই ২৩টি বাড়ি তৈরির নকশায় বিশেষ অনুমোদন দেওয়া হবে৷ বুধবার এমনটাই জানালেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আগামী শুক্রবার মেয়র পারিষদ বৈঠকে ওই ২৩টি বাড়ি তৈরির নকশায় বিশেষ অনুমোদন দেওয়া হবে। কারণ বর্তমান নিয়ম অনুসারে ছাড়-সহ আর অনেকগুলো বিষয় আছে যেগুলো এই নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে লাগু হবে না৷ তাই বউবাজারের বিশেষ অনুমোদন প্রয়োজন।”
বউবাজার মেট্রো বিপর্যয়ের পর কেটেছে বেশ কয়েক বছর। ঘরছাড়া এখনও একাধিক পরিবার। নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে ২৩টি বাড়ি। ওই জায়গায় কেএমআরসিএল আধুনিক বহুতল বানিয়ে ফ্ল্যাট দেওয়ার কথা জানিয়েছিল৷ তবে ওই সমস্ত বাড়ির বাসিন্দারা তাতে আপত্তি করেন। তাঁদের দাবি ছিল, এক একজনের কারও তিনতলা, কারও আবার দোতলা বাড়ি ছিল। তাঁদের ঠিক তেমনই বাড়ি করে দিতে হবে। বউবাজারের বাসিন্দাদের দাবি মেনে নেয় এবং সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি শুরু করে কেএমআরসিএল। একটি সংস্থা সেই মতো বাড়িগুলির নকশা তৈরি করে জমা করে। তবে দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হলেও কলকাতা পুরনিগম থেকে বাড়ির তৈরি নকশায় অনুমোদন মিলছিল না বলে অভিযোগ।
এই সংক্রান্ত বিষয় এদিন মাসিক অধিবেশনে তুলে ধরেন স্থানীয় কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে ৷ তাঁর কথায়, “৫ বছর আগে মেট্রো বিপর্যয় ঘটে। যাঁদের ঘরছাড়া হতে হয়েছে তাঁদের সম্পর্কে একটু তৎপর হওয়া দরকার পুরনিগমের।” তিনি প্রশ্ন তোলেন, বাড়ির নকশা অনুমোদনে কলকাতা পুরনিগম কেন তৎপর হচ্ছে না? যে বাড়িগুলি মেরামত করা হচ্ছে তার ফিট সার্টিফিকেট দিতে পারে পুরনিগম? বউবাজার নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় তাদের রিপোর্ট কি পেশ করেছে? বাড়িগুলি তৈরির পরে ১০ বছর সেগুলির রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য ওই কাউন্সিলর মেয়রকে আবেদন করেন।
ফিরহাদ হাকিম তাঁর প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে জানান, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপোর্ট জমা পড়েছে। যে বাড়িগুলি মেরামত হয়েছে তাদের ফিট সার্টিফিকেট পুরনিগম দিতে পারে না। কারণ পুর আইন অনুযায়ী এই ক্ষমতা তাদের বিল্ডিং বিভাগের নেই৷ তবে পুরনিগমের তালিকাভুক্ত ইঞ্জিনিয়ারদের দিয়ে ফিট সার্টিফিকেট দেওয়ার কাজ করানো যেতে পারে। কিন্তু সেটা করাবে কেএমআরসিএল। তিনি বলেন, “আমি চাই দ্রুত মেট্রো পরিষেবা চালু হোক। তবে পুরনিগমের এমন কোনও আইন নেই যে কেএমআরসিএলকে বাড়ি তৈরির পর সেগুলোকে আমরা রক্ষণাবেক্ষণের কথা বলতে পারি। আমরা বড় জোর কেএমআরসিএলকে বাড়িগুলি রক্ষণাবেক্ষণের আবেদন করতে পারি৷ সেটা আমি ইতিমধ্যে করেছি।”

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*