রোজদিন ডেস্ক :-
৯ অক্টোবর দু’মাস হবে আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস ধর্ষণ ও খুনের। প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের আঁচ সেই যে জ্বলে উঠেছে, তা এতদিনে স্তিমিত হওয়ার বদলে বরং বারবার তীব্রতর হয়ে উঠেছে। আমরণ অনশনে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের সংহতি জানিয়ে গণইস্তফা দিয়েছেন সিনিয়র ডাক্তাররা। আর এবার ষষ্ঠী থেকেই নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করলেন আন্দোলনকারীরা।
জানানো হয়েছে, বুধবার সকালে আরজি কর মেডিক্যালে নির্যাতিতার স্মরণে রক্তদান শিবির হবে। এরপর দুর্গাপুজোর মণ্ডপে মণ্ডপে চিকিৎসকদের ১০ দফা দাবি লেখা লিফলেট বিলি করা হবে। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে থাকবে আরজি কর এবং জয়নগরের নির্যাতিতার প্রতীকী মূর্তিও। উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতার মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরবেন তাঁরা।
কর্মসূচি ঘোষণা করার পর আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদার অভিযোগ তোলেন, ‘আমাদের আন্দোলনে পাশে দাঁড়াতেই সিনিয়র ডাক্তাররা গণইস্তফার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু, আমরা শুনতে পাচ্ছি, তারপর থেকেই সিনিয়রদের ওপর প্রশাসন চাপ সৃষ্টি করছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব। যদি সত্যিই এরকম কিছু হয় তাহলে আমাদের এই আন্দোলন আরও তীব্র হবে।’
প্রসঙ্গত, ৭২ ঘণ্টা কেটে গেছে সাত জন জুনিয়র ডাক্তার অনশন করছেন। নবান্ন থেকে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ ঘোষণা করেছিলেন, ডাক্তারদের সুরক্ষার বিষয়টি অগ্রাধিকার দিয়েই দেখছে সরকার। ‘রাত্তিরের সাথী’ প্রকল্পে ইতিমধ্যে ১১৩ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ৪৫ শতাংশের বেশি সিসিটিভির কাজ হয়ে গেছে। এছাড়া ওয়াশরুম সংক্রান্ত ৬৫ শতাংশ কাজ এগিয়ে গেছে। আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে ৯০ শতাংশ কাজ হয়ে যাবে বলেও আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি। এও বলেন, ১৫ অক্টোবর থেকে পাইলট প্রজেক্টের কাজ শুরু হবে। সব ঠিক হলে প্যানিক বটন-এর কাজও শুরু হবে পয়লা নভেম্বর থেকে।
কিন্তু অনশন মঞ্চ থেকে আন্দোলনকারীরা সাফ জানান, আরজি করের নির্যাতিতার বিচারের পাশাপাশি কলেজে কলেজে ভর্তিতে দুর্নীতি, থ্রেট কালচার-সব ধরনের বেনিয়ম বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের এই আন্দোলন চলবে।
Be the first to comment