
রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:-প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের চাকরি বাতিল। একেবারে দিশেহারা অবস্থা। রাজ্যের একের পর এক স্কুলে আচমকাই কমে যেতে পারে শিক্ষকদের সংখ্যা। লাটে উঠতে পারে পঠনপাঠন। এদিকে নানা সময় শিক্ষকদের দাবিগুলি সামনে এনেছিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। এবার আগামী শনিবার রাজ্য জুড়ে কর্মবিরতির ডাক দিল সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন সংগ্রামী যৌথমঞ্চ।
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্করর ঘোষ বলেন, যাদের নামে কোনও অভিযোগ নেই তাদের বেতন সরকার দিয়ে যাক। একটা ভয়াবহ শিক্ষা সংকটের মধ্যে পড়েছি। স্বাধীন ভারতে এর আগে কোনও রাজ্য এমন ভয়াবহ শিক্ষা সংকটের মধ্যে পড়েনি। একথা মাথায় রেখে আগামী শনিবার সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছে আবেদন করছি, শিক্ষক শিক্ষিকাদের কাছে আবেদন করছি একদিনের কর্মবিরতি পালন করি। সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের কণ্ঠস্বরটাকে একটু জোর করি। এই কাজে সমস্ত সহকর্মীদের অনুরোধ করছি সহযোগিতা করুন। প্রয়োজনে পরীক্ষা থাকলে পিছিয়ে দিন। কারণ এটা সেমেস্টার পরীক্ষা। শিক্ষার পরিকাঠামো ধ্বংস হওয়ার মুখে। একটা স্কুল থেকে ৭জন, ৮জন করে শিক্ষক বাতিল হয়ে যাচ্ছেন। তাঁরা বরখাস্তের তালিকায়। এদের জীবনের দায় কে নেবে? সুপ্রিম কোর্টে বলা হয়েছে সরকার পৃথকীকরণের কোনও তালিকা কেন দিল না সরকার? এর জন্য যদি যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকা যদি আবেদন করেন তবে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ আন্দোলনের জন্য তৈরি। তার দিনক্ষণ আমরা জানিয়ে দেব। তবে আন্দোলন না করলে সরকার সহজে এই তালিকা প্রকাশ করবে না। কারণ মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী আজকেও যে কথা নবান্ন থেকে বলেছেন সেখানে যোগ্যদের কথা কিছু বলছেন না বরং গোল গোল কথা বলে অযোগ্যদের রক্ষা করার কথা বলে গিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকারি কর্মীদের নানা দাবি দাওয়া নিয়ে দীর্ঘ আন্দোলন করছে এই সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। এবার চাকরি বাতিলের রায়ের পরে সরকারের বিরুদ্ধে আরও একবার ফুঁসে উঠছেন তাঁরাও। তাঁদের প্রশ্ন কেন সরকার এত সময় পাওয়ার পরে যোগ্য ও অযোগ্যদের আলাদা করল না?
Be the first to comment