
রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে নানা জল্পনা ছড়াচ্ছে। কখনও খবর আসছে বাংলাদেশে জরুরি অবস্থা জারি হতে পারে। আবার কখনও শোনা যাচ্ছে, সেনাবাহিনী নিজের হাতে ক্ষমতা তুলে নিতে চলেছে। এই ধরনের সম্ভাবনা এখনও জল্পনার স্তরে থাকলেও এই পরিস্থিতিতে একের পর এক বৈঠক করছেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান। রবিবার দুপুরে সেনাকর্তাদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন সেনপ্রধান। জানা গেছে, সেই বৈঠকে দেশে দ্রুত নির্বাচন করিয়ে স্থায়ী সরকার ও সংসদ প্রতিষ্ঠায় সেনবাহিনীকে সক্রিয় হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সেনা কর্তারা। সোমবারও অফিসারদের নিয়ে আলাদা বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে নতুন পরিস্থিতির জন্য সকলকে তৈরি থাকতে বলেছেন সেনা প্রধান। তবে নতুন পরিস্থিতি বলতে ঠিক কি তা পরিষ্কার নয়।
নতুন করে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে জল্পনা শুরু হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা হাসনাত আবদুল্লার একটি ফেসবুক পোস্টকে ঘিরে। সেই পোস্টে হাসনাত দাবি করেন একটি বৈঠকে সেনা প্রধান ওয়াকার উজজামান রিফাইন্ড আওয়ামি লিগকে মেনে নিতে বলা হয়। যদিও হাসনাতের বক্তব্যের পরই কড়া বিবৃতি দেয় সেনা। জানানো হয়, ফেসবুকে ছাত্রনেতা হাসনাত আবদুল্লার বিবৃতিটি ‘হাস্যকর ও অপরিপক্ব গল্পের সম্ভার’। আরেক ছাত্র নেতা সারজিস আলমও হাসনাতের সঙ্গে ফেসবুক পোস্ট করে দ্বিমত পোষন করে সেনাবাহিনীর পাশে দাঁড়ান। কিন্তু তাতে অবশ্য সেনাবাহিনীর মন ভেজেনি। এরপরই একের পর এক বৈঠক ডেকে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন সেনাপ্রধান। এই পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, ‘কয়েক দিন আগেও আমরা দেখেছি, সংস্কার এবং নির্বাচনকে মুখোমুখি দাঁড় করানো হচ্ছে, ঠিক একইভাবে সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি করানোর চেষ্টা হচ্ছে। এর পেছনে নিশ্চয়ই কোনো ষড়যন্ত্র আছে।’ কার্যত একই অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি জানান, আবারও বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ চক্রান্ত হচ্ছে বাংলাদেশকে আবার অস্থিতিশীল করার এবং বাংলাদেশকে আবারও বিপদে নিমজ্জিত করার জন্য। তবে দেশে জরুরি অবস্থা জারি নিয়ে যে আলোচনা চলছে, সেটিকে ‘গসিপ’ বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রসচিব নাসিমুল গনি। আজ সোমবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কার কোনো তথ্য নেই। পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’
Be the first to comment