
রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় রিঙ্গার্স ল্যাকটেট স্যালাইনে কোনও সমস্যা ছিল না! কলকাতা হাইকোর্টে মুখবন্ধ খামে রাজ্য সরকারের দেওয়া রিপোর্টে এমনই দাবি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর পাশাপাশি ঘটনার দু’দিনে অর্থাৎ, ৮ ও ৯ জানুয়ারি প্রসূতি বিভাগের আরএমও এবং সিনিয়র চিকিৎসকরা মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন না বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চে রিপোর্ট জমা দিয়েছে রাজ্য সরকার। সেই রিপোর্ট প্রসঙ্গে আদালতে অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, “স্টেট ড্রাগ কন্ট্রোল আরএল স্যালাইনকে স্ট্যান্ডার্ড বলে উল্লেখ করেছে। একসঙ্গে পাঁচজন প্রসূতি ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু, ওই দুই দিন আরএমও ছিলেন না হাসপাতালে। সিনিয়র ডাক্তাররাও ছিলেন না। সিআইডি তদন্ত করে দেখছে কীভাবে প্রসূতিরা অসুস্থ হলেন এবং মৃত্যুর ঘটনা ঘটল।”
অ্যাডভোকেট জেনারেলের বক্তব্য শোনার পর প্রধান বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, রাজ্যের দেওয়া রিপোর্টের কপি মামলাকারীদের আইনজীবী-সহ অন্যান্যদের দিতে। রাজ্যের পেশ করা রিপোর্টের বিরুদ্ধে কোনও বক্তব্য থাকলে, তা ১০ দিন পরে আদালতে জানাতে পারবেন মামলাকারী-সহ অন্যান্য পক্ষ।
এদিন এজি আরও জানান, রাজ্য সরকার ইতিমধ্যে আর্থিক সাহায্য করেছে। এমনকি যে ৩০ হাজার বোতল স্যালাইন এসেছিল, তা-ও বাতিল করেছে স্বাস্থ্য দফতর।
তবে, প্রধান বিচারপতির বক্তব্য ছিল, “এটা প্রথম নয়। এর আগেও নিশ্চই এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। সংশ্লিষ্ট স্যালাইন প্রস্তুতকারী সংস্থা কি খোঁজ নিয়েছে, কীভাবে এটা হল?” সংস্থার পক্ষ থেকে আইনজীবী জানান, তারা প্রায় দেড় কোটি বোতল রিঙ্গার্স ল্যাকটেট স্যালাইন তৈরি করেছিল। কীভাবে এটা হল, সংস্থাও তা বুঝতে পারছে না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী।
উল্লেখ্য, গত ১৬ জানুয়ারি রিঙ্গার্স ল্যাকটেট স্যালাইন ব্যবহারে প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগে রাজ্যের মুখ্যসচিবের রিপোর্ট তলব করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আজ সেই রিপোর্ট আদালতে জমা পড়েছে। যদিও, এর আগেই শুনানিতে রিঙ্গার্স ল্যাকটেট স্যালাইনের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন অ্যাডভোকেট জেনারেল।
Be the first to comment