রোজদিন ডেস্ক :-
এত দিন সুপ্রিম কোর্টে সকালে শুনানি হলেও এ বার আরজি কর মামলার শুনানির সময় পিছিয়ে গেল। শুনানির সময় পিছিয়ে দুপুর করা হয়েছে। শীর্ষ আদালত সূত্রে খবর, সোমবার দুপুর ২টোয় মামলাটি শুনবে আদালত। আগেকার মতো প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চের তালিকায় ৪২ নম্বরে মামলাটি উঠবে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চ।
কলকাতার আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সুপ্রিম কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মামলা দায়ের করে সেই মামলার শুনানি শুরু করে। দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। সেই মামলার শুনানির জন্য যে বেঞ্চ গঠন করেন সেখানে তিনি নিজে ছাড়াও ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আরও ২জন বিচারপতি। এরা হলেন বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্র। ৩জন বিচারপতির সেই বেঞ্চেই চলছে আর জি কর মামলার শুনানি। গত ২০ অগস্ট থেকে শুরু হয়েছে এই মামলার শুনানি। তার পর থেকে ৪ বার মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে। আগামিকালও এই মামলার শুনানি থাকছে সুপ্রিম কোর্টে। তবে এবার এই মামলার শুনানি হবে দুপুরবেলায়।
সুপ্রিম কোর্টে গত ২০ অগস্ট থেকে আর জি কর মামলার শুনানি চলছে। প্রতিবারই শুনানির তালিকার প্রথমে স্থান পায় মামলাটি। সকাল সাড়ে ১০টায় আদালত বসলে শুনানির জন্য প্রথম ডাক পড়ে এই মামলাটির। কিন্তু আগামিকাল এই ছবি দেখা যাবে না। আগামিকাল সকালের পরিবর্তে দুপুরে এই মামলার শুনানি হবে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চে। শুধু তাই নয়, এতদিন যে মামলা ১ নম্বরে থাকতো, সেই মামলাই আগামিকাল ৪২ নম্বর মামলা হিসাবে শুনানির জন্য উঠবে। সেই হিসাবে বলা যেতেই পারে, আর জি কর মামলার শুনানির সময় পিছিয়ে গেল। সকালের পরিবর্তে মামলার শুনানি হবে দুপুরে। দুপুর ২টোর সময় মামলাটি শুনবে দেশের শীর্ষ আদালত।
জানা গিয়েছে, আর জি কর মামলার শুনানির সময় পিছিয়ে গেলেও এই মামলার গুরুত্ব যে কমে যায়নি তা বুঝিয়ে দিতেই দুপুর ২টোয় মামলাটির শুনানির সময় বিশেষ ভাবে নির্দিষ্ট করা হয়েছে। এই মামলায় প্রায় ৪২টি পক্ষের নথিভুক্ত আইনজীবীর সংখ্যা ২০০-র বেশি। এরা সকলেই আগামিকালের শুনানিতে অংশ নেবেন। গত ১৭ সেপ্টেম্বর শেষবার এই মামলার শুনানি হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। পরবর্তী শুনানির দিন ছিল ২৭ তারিখ। কিন্তু ওই দিন রাজ্যের আইনজীবীর সমস্যা থাকায় শুনানি পিছিয়ে যায়। তার আগেও অবশ্য এক বার ওই মামলার শুনানি পিছিয়ে গিয়েছিল। গত ৫ সেপ্টেম্বর হওয়ার কথা থাকলেও প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় না থাকায় শুনানি হয়নি। পরিবর্তে ১৭ তারিখ শুনানি হয়। গত শুনানিতে শীর্ষ আদালত সিবিআই রিপোর্ট দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেছিল। তদন্তের জন্য আরও সময় দেওয়া প্রয়োজন বলে জানিয়েছিল তিন বিচারপতির বেঞ্চ। সোমবার ওই মামলায় কী হয় সে দিকে তাকিয়ে থাকবে রাজ্যবাসী।
Be the first to comment