অমিত মালব্যের অভিযোগ পেতেই অতি সক্রিয় পুলিশ, সংবাদমাধ্যমের সম্পাদকের বাড়িতে হানা

Spread the love

বিজেপির আইটি শাখার প্রধান তথা পশ্চিমবঙ্গের সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য তাঁর প্রভাব খাটিয়ে ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক থেকে বহু পোস্ট ডিলিট করিয়ে দেন। শুধু তাই নয়, এই সকম সংস্থাগুলির পরিচালক তথা’মেটা’ থেকে অমিত মালব্য বহু নিয়ম বহির্ভূত সুবিধাও পান। সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ওয়্যার’-এ এমন প্রতিবেদনই ছাপা হয়েছিল। যা প্রকাশিত হওয়ার পরপরই মালব্য ওই সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে এফআইআর দায়ের করেন।

পরবর্তীতে সেই সব প্রতিবেদন প্রত্যাহার করে নেয় ওয়্যার।কিন্তু এতেই থেমে থাকেননি বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। সংবাদমাধ্যমের কন্ঠরোধ করতে উঠেপড়ে লাগে বিজেপি নেতা। এরপর তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার বিকেলে দ্য ওয়্যার’-এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক সিদ্ধার্থ বরদারাজন এবং এম কে ভেনুর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তাঁদের ফোন ও ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করেছে দিল্লি পুলিশের তদন্তকারী দল।বলা ভাল, সত্যি খবর ঢাকতে মরিয়া হয়ে ওঠে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে থাকা দিল্লি পুলিশ।

প্রসঙ্গত, অমিত মালব্যের নামে দ্য ওয়্যারে ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল,এক্স-চেক নামে একটা প্রোগ্রামের মাধ্যমে অমিত মালব্যকে এমন সুবিধা দেওয়া হয়েছে, যার ফলে অমিত বিজেপির বিরুদ্ধে ৭০০ পোস্ট ফেসবুক থেকে নামিয়ে দিতে পেরেছিলেন। কিন্তু এই অভিযোগ অস্বীকার করেছিল মেটা। অমিত মালব্যও এই তথ্য সর্বৈব মিথ্যা বলে দাবি করেছিলেন।দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চে ‘দ্য ওয়্যারে’র মুখ্য সম্পাদক সিদ্ধার্থ বরদারাজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন অমিত মালব্য। সেই সঙ্গে এম কে ভেনু, সিদ্ধার্থ ভাটিয়া ও জাহ্নবী সেনের বিরুদ্ধেও অভিযোগ করা হয়। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে দিল্লি পুলিশ ফৌজদারি দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় প্রতারণা, জালিয়াতি, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মামলা দায়ের করেছে।

এ ব্যাপারে অবশ্য কোনও প্রতিক্রুয়া দেননি সিদ্ধার্থ বরদারাজন বা এম কে ভেনু । তবে গত শনিবার বরদারাজন ‘দ্য ওয়্যারের’ প্রাক্তন এক কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সেই কর্মীর নাম দেবেশ কুমার। বরদারাজনের অভিযোগ ছিল, দেবেশ যে সব নথিপত্র সংগ্রহ করেছিলেন এবং দেখিয়েছিলেন, তার ভিত্তিতেই প্রতিবেদন লেখা হয়।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*