কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞেরা। তাই তার মোকাবিলায় শিশু-স্বাস্থ্যে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে রাজ্য সরকার।
গত সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এখন থেকেই শিশুদের চিকিৎসার উপযুক্ত পরিকাঠামো তৈরিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য।
স্বাস্থ্য শিবির সূত্রের খবর, পরিস্থিতি সামাল দিতে আরও পেডিয়াট্রিক ভেন্টিলেটরের ব্যবস্থা হচ্ছে। আবার প্রাপ্তবয়স্কদের যে ভেন্টিলেটর রয়েছে, তার কয়েকটির রূপান্তর ঘটানো হচ্ছে শিশু চিকিৎসার জন্য। কেনা হচ্ছে পেডিয়াট্রিক পালস অক্সিমিটার। সূত্রের খবর, বিশেষ প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করছে স্বাস্থ্য ভবন। জাতীয় স্তরের দুই জন এবং রাজ্য স্তরের ১১ জন বিশেষজ্ঞ শিশুচিকিৎসককে নিয়ে তৈরি করা হয়েছে একটি কমিটি। তাঁরা রাজ্যের শিশুচিকিৎসকদের প্রথমে প্রশিক্ষণ দেবেন। তার পরে ওই চিকিৎসকেরা সমস্ত সরকারি হাসপাতালের জেনারেল ডিউটি মেডিক্যাল অফিসার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেবেন। যাতে তাঁরা প্রাথমিক ভাবে করোনা আক্রান্ত শিশুর চিকিৎসা করতে পারেন।
মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বলেন, “তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে বাড়তি যত্ন নিতে হবে। তাই শিশুদের শয্যা বাড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে মায়েদের স্বাস্থ্য ভাল রাখাও গুরুত্বপূর্ণ।” স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, সিদ্ধান্ত হয়েছে, রাজ্যে সরকারি স্তরে শিশুদের সাধারণ শয্যার পাশাপাশি পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (পিকু) ১৩০০টি এবং নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (নিকু) ৩৫০টি শয্যা রাখা হবে।
Be the first to comment