
রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- পাথরপ্রতিমা বিস্ফোরণ-কাণ্ডে গাফিলতির অভিযোগে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশ্ন তুললেন, রান্নার গ্যাস আর বাজি একসঙ্গে কেন রাখা ছিল! অসচেতনতার কারণেই এই ঘটনা বলে মন্তব্য করলেন তিনি। এই বিস্ফোরণে চারজন শিশু-সহ আটজনের মৃত্যুর ঘটনায় শোকপ্রকাশও করলেন মমতা।
বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বলেন, “দক্ষিণ ২৪ পরগনায় যেখানে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে সেটা লাইসেন্স প্রাপ্ত ক্র্যাকার। কিন্তু, গুজরাটে যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁরা বেআইনি বাজিকারখানায় বিস্ফোরণ হয়ে মারা গিয়েছে। এক্ষেত্রে দুর্ঘটনার কারণ অসচেতনতা। লাইসেন্স থাকলেই দায় সারা যায় না। বাড়িতে কেউ গ্যাস রাখবে, আবার বাজিও মজুত থাকবে এটা কী ধরনের বুদ্ধি? এতবার বলার পরেও সাবধানতা মানা হচ্ছে না। একসঙ্গে এতগুলো প্রাণ চলে গেল, ভাবলেই বুকটা ভেঙে যাচ্ছে।”
এদিন তিনি এও বলেন, “বাংলা বছরের শেষ দিকে অনেক ক্ষেত্রে এমন ঘটনাও ঘটে, ইচ্ছা করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বীমার অর্থ পেতে। এসব থেকে বাঁচার একটাই উপায়, সচেতনতা।”
প্রসঙ্গত, ঘটনা দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়পুরের তৃতীয় ঘেরি এলাকা ঈদের দিন রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ বিকট বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে। বিস্ফোরণের জেরে ওই বাড়ির অর্থাৎ, বণিক পরিবারের আট সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। যদিও বিস্ফোরণের উৎস কী, তা এখনও স্পষ্ট নয়। গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে আগুন লেগেছিল, না কি বাজি থেকেই এই ঘটনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এদিন নবান্ন থেকে ফের আরও একবার বাজি প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে সরকার তা স্পষ্ট জানান রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “রাজ্য সরকার বাজি প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির সঙ্গে আলোচনায় বসবে। জনবসতিহীন এলাকায় বাজি মজুতের জন্য নির্দিষ্ট ‘সেফ জোন’ চিহ্নিত করা হবে। পাশাপাশি, সোশ্যাল মিডিয়ায় সচেতনতামূলক প্রচারও করা হবে। সরকার প্রস্তুত, কিন্তু মানুষকে সাবধান হতে হবে। আমি চাই না, আর কোনও বাড়ি এক রাতেই শেষ হয়ে যাক। একটা পরিবারকে হারানোর যন্ত্রণা কখনও পুষিয়ে দেওয়া যায় না।”
Be the first to comment