রোজদিন ডেস্ক:-
৭ লক্ষেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়ে তৃতীয় বারের জন্য সাংসদ হওয়ার পর এবার পুজোর আবহে বড়সড় চমক দিচ্ছেন ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল সাংসদ তথা দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার পুজোয় ‘দুয়ারে উপহার’ কর্মসূচি নিয়ে হাজির হয়েছেন তিনি। তাঁর লোকসভা কেন্দ্রের মানুষকে পুজোর উপহার হিসাবে জামাকাপড় পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। আর সেই উপহার পৌঁছে দেওয়া হবে বাড়িতে বাড়িতে। অভিষেকের নির্দেশ, দলের স্থানীয় নেতারা ডায়মন্ডহারবার এলাকার সাধারণ মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সেই উপহার পৌঁছে দিয়ে আসবেন। আগামী ২ অক্টোবর মহালয়ায় দেবীপক্ষের সূচনা হবে। তার আগে অভিষেকের উপহার আমজনতার কাছে পৌঁছে দিতে চান এলাকার তৃণমূল নেতারা। সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়ার এই উদ্যোগ অভিষেকের প্রথম নয়। কোভিডের সময় লকডাউনের মধ্যেও ডায়মন্ডহারবার এলাকার মানুষের জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাবার পৌঁছে দেওয়ার বন্দোবস্ত করেছিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। আর এবার বাড়ি বাড়ি পুজোর উপহার।
জানা গিয়েছে, গত বছর পর্যন্ত পুজোর আগে অভিষেকের উপহার কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হত ডায়মন্ডহারবার লোকসভার অধীন ৭টি বিধানসভা কেন্দ্রে। যেখানে সাংসদ স্বয়ং উপস্থিত হয়ে পুজোর উপহার তুলে দিতেন আমজনতার হাতে। কিন্তু উপহার দেওয়ার এই পদ্ধতিতে এবার বদল আনা হয়েছে। কেন আনা হচ্ছে বদল? তৃতীয় বারের জন্য সাংসদ হওয়ার পর এবছর লোকসভা ভোটের পরে জুন মাসে আমতলার দলীয় কার্যালয়ে ভোটারদের ধন্যবাদ জানাতে বৈঠক করেছিলেন অভিষেক। সেই বৈঠকেই ভোটারদের ধন্যবাদ জানাতে গিয়ে, তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন, নেতাদের থেকে মঞ্চের ওপরে কেন উপহার নেবেন সাধারণ মানুষ? বহু ক্ষেত্রে নেতারা উপহার দেওয়ার মুহূর্তের ছবি তুলে তা প্রকাশ্যে ছড়িয়ে দেন। যা না-পসন্দ তাঁর। অভিষেকের বক্তব্য ছিল, যদি উপহার দিতেই হয়, তা হলে তা পৌঁছে দিতে হবে সাধারণ মানুষের বাড়ি গিয়ে। তার পরেই এবছর পুজোর উপহার ভিন্ন আঙ্গিকে দেওয়া হবে বলে মনস্থির করেন অভিষেক। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী, এবছর সাধারণ মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে উপহার পৌঁছে দিচ্ছেন ডায়মন্ডহারবার লোকসভা এলাকার বুথ স্তরের তৃণমূল নেতারা।
জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ রবিবার থেকে সেই কাজ শুরু করে দিয়েছেন ডায়মন্ডহারবার লোকসভা এলাকার অধীন তৃণমূল নেতারা। অভিষেকের দফতর থেকে বিধানসভাভিত্তিক উপহার পৌঁছে যাবে প্রত্যেক বুথে বুথে। তারপর বুথের দায়িত্বে থাকা নেতারা নিজেদের সুবিধা মতো যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেই উপহার পৌঁছে দেবেন সাধারণ মানুষের দুয়ারে। কার্যত বুথের নেতাদের সঙ্গে যাতে আমজনতার সবসময় যোগাযোগ থাকে তার জন্য এই কর্মসূচীতে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বুথ নেতাদেরই। বুথের দায়িত্বে থাকা নেতাদেরই দেওয়া হয়েছে সাধারণ মানুষের কাছে উপহার পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব।
Be the first to comment