
রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- অবশেষে মিলল প্রমাণ। ১৬ জানুয়ারি সইফ আলি খানের উপর হামলার ঘটনায় ধৃত মহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদই আসল অপরাধী। ঘটনার দিনের সিসিটিভি ফুটেজের সঙ্গে অবিকল মিলে গিয়েছে শরিফুলের চেহারা। দিন কয়েক আগেও ফরেন্সিক রিপোর্টে শরিফুলের ফিঙ্গার প্রিন্টের সঙ্গে মেলে নি সইফের উপর হামলাকারীর ফিঙ্গার প্রিন্ট।
তাতেই মুম্বই পুলিশের উপর সন্দেহ জাগে! ধারণা করা হয়েছিল, আবারও সইফের উপর হামলাকারী ভেবে উঠিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে ভুল লোককে। অবশেষে সিসিটিভি ফুটেজ দিল সঠিক প্রমাণ। গত ১৬ জানুয়ারি অভিনেতা সইফের আলি খানের বান্দ্রার বাড়িতে অনুপ্রবেশকারী ছিলেন শরিফুল ইসলাম শেহজাদ।
সূত্র জানিয়েছে, CCTV ফুটেজে ধারণকৃত ব্যক্তির সঙ্গে অভিযুক্ত শরিফুলের চেহারার হুবহু মিল রয়েছে। ১৬ জানুয়ারি সইফ আলি খানের উপর হামলার ঘটনার টানা ৭০ ঘন্টা অভিযানের পর ১৯ জানুয়ারি থানে থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদকে। গ্রেফতারের পর মুম্বই পুলিশ জানিয়েছিল, শরিফুলের কাছে নেই কোনও ভারতীয় তথ্য, তিনি সম্ভবত বাংলাদেশের বাসিন্দা। সেটাই প্রমাণিত হয়েছে, মিলেছে শরিফুলের বাংলাদেশের আইডি কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদি। এটাও জানা গিয়েছে, শরিফুল বরিশালের বাসিন্দা। ৭ মাস আগে বাংলাদেশে খুন করে ভারতে পালিয়ে আসে। এরপর কয়েকদিন পশ্চিমবঙ্গে গা ঢাকা দিয়ে মুম্বই পালিয়ে আসে কাজের খোঁজে। এবং সেখানে বিজয় দাস নামে বসবাস করছিল। আর পুলিশের জেরার মুখে শরিফুল সবটা শিকারও করেছেন। তিনি জানিয়েছে, ১৬ জানুয়ারি তিনি চুরির উদ্দেশ্যে সইফ আলির বাড়ি ঢুকেছিলেন। কিন্তু তাঁকে সইফ আলি খানের ছেলের নার্স দেখে ফেলেন। এরপর সইফ আলি খান ছুটে এলে তাঁকে দেখে ঘাবড়ে যান এবং নিজেকে বাঁচাতে অভিনেতার উপর ৬ কোপ বসিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালায়। শরিফুলের বাংলাদেশি আইডি কার্ডে নাম শরিফুল ইসলাম লেখা রয়েছে। তার পিতার নাম মোহাম্মদ রুহুল আমিন লেখা ছিল এবং তার বয়স ৩১ বছর দেওয়া ছিল। গত পাঁচ মাস ধরে মুম্বইয়ে রয়েছেন শরিফুল। তিনি একটি হাউসকিপিং এজেন্সিতে কাজ করতেন। সাত মাস আগে ডাউকি নদী পেরিয়ে অবৈধ ভাবে ভারতে ঢোকেন। এদিকে ১৬ জানুয়ারি ঘটনার পর রক্তাক্ত অবস্থায় সইফকে লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়, যেখানে তার অস্ত্রোপচার করা হয়। অভিনেতার মেরুদণ্ড থেকে অস্ত্রের একটি ২.৫ ইঞ্চি টুকরো অপসারণ করা হয়। এখন তিনি বাড়িতে বিশ্রামে রয়েছেন। পুলিশ তাঁর বয়ানও রেকর্ড করেছে।এদিকে শরিফুল জেলবন্দী।
Be the first to comment