সোমবার ভোররাতে গান্ধীনগরে গুজরাট সরকারের সচিবালয়ে ঢুকে পড়লো একটি চিতাবাঘ। দেখতে পান কর্তব্যরত রাজ্য পুলিশের রিজার্ভ ফোর্সের এক কনস্টেবল। সিসিটিভি ফুটেজেও দেখা যায়, বন্ধ দরজার তলা দিয়ে গলে সচিবালয়ের ক্যাম্পাসে ঢুকছে চিতাবাঘ। খবর দেওয়া হয় বনদফতরে। একশো জনের একটি দল রণসজ্জায় সজ্জিত হয়ে সচিবালয়ে আসেন। মন্ত্রী-আমলাদের আস্তানায় চিতাবাঘ পড়েছে বলে কথা! আসে বিরাট পুলিশবাহিনীও।
গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় এখানেই বসতেন নরেন্দ্র মোদী। চিরুনি তল্লাশি চালানো হয় ক্যাম্পাসের ভিতর। বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখা হয় কর্মীদের। ঘিরে ফেলা হয় গোটা এলাকা। কাজকর্ম প্রায় শিকেয় ওঠে। অবশেষে দুপুরের দিকে চিতাবাঘটিকে পাকড়াও করেন বনদফতরের কর্মীরা। তারপর ছেড়ে দেওয়া হয় জঙ্গলে।
এমনিতেই বাঘিনী অবনীর মৃত্যু নিয়ে বিতর্কে তোলপাড় দেশ। এরমধ্যেই উত্তরপ্রদেশে একটি বাঘকে ট্রাক্টর দিয়ে পিষে মারার ঘটনা ঘটেছে। গুজরাটে যদি সেই রকম ভাল-মন্দ কিছু একটা ঘটত তাহলে বিতর্কের ঝড় বাড়ত বই কমত না। কিন্তু সে সব আর কিছু হয়নি। প্রথম কয়েক ঘণ্টা কাজ বন্ধ থাকলেও, পরে আতঙ্ক কাটিয়ে গুজরাট সচিবালয়ের কাজকর্ম জোরকদমে শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
Be the first to comment