লক্ষ্যভ্রষ্ট গুলিতেই টিটাগড়ের তৃণমূল কর্মী সতীশ শর্মা খুন হয়েছেন বলে দলের ভিতর দাবি উঠলেও এ ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত নয় পুলিশ। খুনের ঘটনায় আরও দুজনকে আজ গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম সঞ্জয় দাস ও শেখ সমির। গতকাল সতীশ গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরেই কালা মুন্না ও ভোলা প্রসাদ নামে দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের দাবি, জেরার মুখে কালা মুন্না দাবি করেছে, গুলি চালিয়েছিল সেই। এই ঘটনায় খোঁজ চলছে আরও দুই দুষ্কৃতীর। তারা ধরা পড়লেই খুনের কারণ সামনে আসবে বলে মনে করে পুলিশ।
সোমবার ভরদুপুরে টিটাগড়ের তালপুকুর মুচিপাড়ায় সতীশ মিশ্র নামে বছর ২২ এর এই যুবককে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। সতীশ পাড়ার পরিচিত তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী। এ দিন পাড়ার কালীপুজোর মণ্ডপে বসে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন তিনি। হঠাৎই দুষ্কৃতীরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে নিয়ে সতীশকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই আজ ভোরে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। সতীশের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে টিটাগড়ে। চলছে পুলিশের টহল।
গতকালই এলাকার বিধায়ক অর্জুন সিংহ ও শীলভদ্র দত্ত দাবি করেন, তাঁদেরই দলের কাউন্সিলর মনীশ শুক্লাকে মারতে এসেছিল দুষ্কৃতীরা। কিন্তু গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে সতীশের গায়ে লাগে। কাউন্সিলর মনীশ শুক্লাও এ ব্যাপারে সহমত। ঘটনায় সিপিএম ও বিজেপির বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠেছে। পাল্টা এই ঘটনাকে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের জের বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধীরা। এ দিকে, ধৃতদের আজ ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হয়। খুন ও অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে।
Be the first to comment