অবশেষে এসেই গেল সে। তিতলি। এসেই ওড়াউড়ি শুরু করে দিল। হাল্কা ঝোড়ো হাওয়া আর ঝিরঝিরে বৃষ্টি দিয়ে। গত কয়েক সপ্তাহের চড়চড়ে গরম আর রোদ থেকে স্বস্তি মিললেও আশঙ্কার মেঘ জমেছে মানুষের মনে। পুজোর আগে তিতলি উড়ে চলে যাবে তো!
পুজোর প্রস্তুতি শেষ লগ্নে। মণ্ডপে মণ্ডপে প্রতিমা এসে গেছে। তৈরি আলোকসজ্জা। বিজ্ঞাপনে মুখে ঢেকেছে শহর। এর মধ্যে ঝড় হলে হোর্ডিং খুলে যেতে পারে। ছিঁড়ে যেতে পারে আলোর তার। এই সব আশঙ্কা থাকলেও প্রস্তুতি থেকে তো হাত গুটিয়ে বসে থাকা যায় না। অতএব তিতলিকে খুব একটা পাত্তা দিচ্ছে না বাংলার জনগণ।
সতর্কবার্তা ছিল আগে থেকেই। বুধবার সকাল থেকেই টের পাওয়া গেল ‘তিতলি’র প্রভাব। সকাল থেকেই আকাশের মুখ গোমড়া। বেলা বাড়তে আকাশ কালো হয়ে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। কলকাতা ছাড়াও উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে শুরু হয়েছে বৃষ্টি।
আইএমডি এবং আলিপুর, দুই আবহাওয়া দফতরই জানিয়েছে, শেষ পাওয়া উপগ্রহ চিত্র অনুযায়ী আরও শক্তিশালী হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় তিতলি। আপাতত ওড়িশা ও অন্ধ্র উপকূলের দিকে গেলেও যে কোনও মুহূর্তে তা আছড়ে পড়তে পারে কলকাতায়। ঘণ্টায় ১২৫ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলবে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত।
আবহাওয়াবিদেরা জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে গভীর নিম্নচাপ। আর এই নিম্নচাপের জেরেই সৃষ্টি হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় তিতলি। প্রাথমিক ভাবে ‘তিতলি’-র অভিমুখ ছিল উত্তর-পশ্চিম দিকে। তবে গত কয়েক ঘণ্টায় অভিমুখ পরিবর্তন করেছে শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়। অগ্রসর হয়েছে উত্তর দিকে। আর সেই জন্যেই পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে ‘তিতলি’-র প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বলে আশঙ্কা করছে হাওয়া অফিস। আর বঙ্গের উপকূলে ‘তিতলি’ আছড়ে পড়লে তা বইবে কলকাতার উপর দিয়েই। এমনটাই অনুমান করছেন আবহাওয়াবিদরা।
বিকেলের পর থেকে ভারী এবং অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি হয়েছে কলকাতা-সহ দুই দিনাজপুর, দুই চব্বিশ পরগণা এবং দুই মেদিনীপুরে। তালিকায় রয়েছে হাওড়া এবং মালদাও। প্রশাসনের তরফে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে ৷ এ ছাড়াও দিঘায় পর্যটকদের সমুদ্র নামতে নিষেধ করা হয়েছে ৷
Be the first to comment