সতর্কতা সত্যি করেই ওড়িশার গোপালপুর সৈকতের কাছে আছড়ে পড়ল তিতলি। ওড়িশা এবং অন্ধ্রের পাঁচটি উপকূলীয় রাজ্যে ঝড়ের মুখোমুখি হয়েছেন বাসিন্দারা। সৈকত-সংলগ্ন বহু বাসস্থান ইতিমধ্যেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ১০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন সরকারি শিবিরে।
বৃহস্পতিবার ভোর ৫:৪০ নাগাদ তিতলি প্রথম ধাক্কা দেয় গোপালপুরে। তিন-চার ঘণ্টা অত্যন্ত খারাপ আবহাওয়া চলবে বলেই সতর্কতা জারি করা হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে। তবে সূত্রের খবর, প্রবল ঝোড়ো হাওয়া এবং উত্তাল সমুদ্র ছাড়া এখনও তেমন দুর্যোগ প্রত্যক্ষ করেননি ওড়িশাবাসী। কিন্তু হাওয়ার বেগ আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আবহবিদরা বলছেন, বঙ্গোপসাগরের উত্তর ভাগ ও ওড়িশার দক্ষিণ উপকূলে সব চেয়ে তীব্র হতে পারে তিতলির আক্রমণ। অন্য দিকে, ওড়িশার দক্ষিণ উপকূলে এর তীব্রতা থাকতে পারে ঘণ্টায় ৮০-১০০ কিলোমিটার মতো। এর জেরে আরও উত্তাল হতে পারে সমুদ্রও। শুধু তাই নয়, উপকূলবর্তী এলাকায় বন্যা ও ধসের মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। বেশি সতর্কতা জারি গঞ্জাম, খুরদা, জগৎসিংপুর ও পুরীতে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বেগে হাওয়া চলতে পারার আশঙ্কা নিয়ে ক্রমে উত্তর দিকে এগোচ্ছে দুর্বার তিতলি। প্রতিবেশী রাজ্যে আছড়ে পড়া এই তিতলির জেরে বাংলায় মাঝারি ও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা আগেই বলেছিল আবহাওয়া দফতর। বুধবার সারা দিন বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টিও হয় বিভিন্ন এলাকায়। বৃহস্পতিবারও সকাল থেকেই হাওয়া চলতে শুরু করেছে। বেলা বাড়লে আবহাওয়া আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
Be the first to comment