যেকোনও মুহূর্তে ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় তিতলি। চার জেলায় জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট। নিরাপত্তার কারণে চার জেলায় বুধবার এবং বৃহস্পতিবার স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওড়িশা সরকার।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে গভীর নিম্নচাপ। আর এই নিম্নচাপের জেরেই ওড়িশা এবং অন্ধ্র উপকূলে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় তিতলি। প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ১২৫ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে ওড়িশা উপকূলে। এমনটাই পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর (IMD)।
ওড়িশার চিফ সেক্রেটারি আদিত্য প্রসাদ পাধি একটি বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গজপতি, গঞ্জাম, পুরি এবং জগৎসিংহপুর এই চার জেলায় সব স্কুল-কলেজ এবং অঙ্গনওয়াড়ি প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হবে। বুধবার এবং বৃহস্পতিবার দু’দিন এই চার জেলায় বন্ধ থাকবে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বাকি জেলায় কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা ঠিক করা হবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, আপাতত গোপালপুরের ৫১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় তিতলি। পূর্ভাবাস অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকালে ওড়িশা এবং গোপালপুর ও কলিঙ্গপত্তনমের মধ্যে অবস্থিত উত্তর অন্ধ্র উপকূলে আছড়ে পড়বে তিতলি।
ক্ষয়ক্ষতি রখতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তৈরি হচ্ছে ওড়িশা। চার জেলায় হাই অ্যালার্টের পাশাপাশি সতর্কতা জারি হয়েছে বাকি জেলাগুলিতেও। সমস্ত জেলার প্রশাসনকেই সজাগ থাকার নির্দেশ দিয়েছে ওড়িশা সরকার। অপেক্ষাকৃত নীচু এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে ত্রাণশিবির। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
এ দিকে তিতলির প্রভাব পড়বে বঙ্গেও। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আজ কলকাতায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কেবল কলকাতা নয় তালিকায় রয়েছে বিভিন্ন জেলাও। হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা এবং দুই মেদিনীপুরেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। বিকেলের পর থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। মালদা এবং দুই দিনাজপুরেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পাশাপাশি ঝোড়ো হাওয়া বইবে উপকূল এলাকায়।
Be the first to comment