গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাথমিক যা খবর এসেছে তাতে সর্বত্রই অনেক এগিয়ে তৃণমূল। প্রতি মুহূর্তেই অগিয়ে যাচ্ছে রাজ্যের শাসক দল। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটগণনা। মোট ৩৩০টি গণনাকেন্দ্রে গণনা চলছে। ভোটগণনার সময় অশান্তি, উত্তেজনা এড়াতে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। পঞ্চায়েত ভোটের বিজয় মিছিলে নিষেধ করেছে কমিশন। কমিশনে নির্দেশ, গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনও দল বিজয় মিছিল করতে পারবে না। গণনা কেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে যাওয়া যাবে না। গণনা কেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি হবে। সাড়ে সাতটায় খোলা হবে স্ট্রং রুম। প্রথমে গোনা হবে গ্রাম পঞ্চায়েতের ব্যালট, তারপর পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা সমিতির।
গতবার, ২০১৩ সালে ১৩টি জেলা পরিষদের মধ্যে সবকটিতেই জিতেছিল তৃণমূল। এবার ২০টি জেলা পরিষদের জন্য গণনা চলছে। মাত্র ২টি করে আসন ছিল বাম ও কংগ্রেসের। পঞ্চায়েত সমিতির ৫৩০৬ আসন ছিল তৃণমূলের। বিজেপির ৩৩টি, বামেদের ২৮২৯টি এবং কংগ্রেসের ৯১৮টি, অন্যান্যদের ১৫৮টি। গ্রামপঞ্চায়েতে ২৫,১৭৫ আসন ছিল তৃণমূলের হাতে। বামেদের হাতে ১৫,৬১৪, কংগ্রেসের হাতে ৫৪৯৫, বিজেপির ৫৮৪ ও অন্যান্যদের ১৯৩২টি। ইতিমধ্যেই মপঞ্চায়েতের ১৬,৮১৪টি আসন বিনা লড়াইয়ে এসে গিয়েছে তৃণমূলের হাতে।
একদফার পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সোমবার বিক্ষিপ্ত অশান্তি, গন্ডগোলের খবর এসেছে। মৃত্যু হয় ২১ জনের। এরপরই ঝাড়গ্রাম বাদে বাকি ১৯টি জেলার ৫৬৮টি বুথে বুধবার ফের ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। ভোটের ফল ঘোষণার পর নতুন করে কোনও উত্তেজনা না ছড়ায়, তাই আগাম সতর্ক হয়েছে কমিশন।
Be the first to comment