বাংলার মতোই ত্রিপুরাতেও মহিলা ভোটব্যাংককে টার্গেট করল তৃণমূল। সে রাজ্যের আগরতলা পুরভোটের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল ঘাসফুল শিবির। সেই তালিকায় স্থান পেয়েছেন ২৫ জন মহিলা। প্রার্থী হয়েছেন সুদীপ রায় বর্মণ ঘনিষ্ঠ নেতাও। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
আগামী ২৫ নভেম্বর ত্রিপুরা পুরনিগম ও নগর পঞ্চায়েতের ভোট। সেই নির্বাচনে প্রথমবার লড়াই করছে তৃণমূল। বুধবার আগরতলা পুরভোটের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল তৃণমূল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিশ্রুতি মতো ৫১টি আসনেই প্রার্থী দিল তারা। তার মধ্যে ২৫টি আসনে রয়েছে মহিলা প্রার্থী। তাদের এই কৌশলকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তাঁদের কথায়, বাংলার মহিলা ভোটব্যাংককে টার্গেট করেছিল তৃণমূল। তাদের জন্য একাধিক প্রকল্প এনেছে ঘাসফুল শিবির। সেই সমস্ত প্রকল্প ত্রিপুরায় চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তৃণমূল। তালিকায় এত সংখ্যক মহিলা প্রার্থী রেখে মহিলা ভোটারদের মন জয়ের চেষ্টাই করল তৃণমূল।
এছাড়া প্রার্থী হয়েছেন যুব তৃণমূল নেতা বাবলু চক্রবর্তী। ‘বিক্ষুব্ধ’ বিজেপি নেতা সুধীর রায় বর্মণ ঘনিষ্ঠ শ্যামল পালও প্রার্থী হয়েছেন। প্রাক্তন কংগ্রেস কাউন্সিলর পান্না ঘোষকেও টিকিট দিয়েছে তৃণমূল। এদিন সমস্ত প্রার্থীই মনোনয়ন দাখিল করেছেন। জয়ের বিষয়ে আশাবাদী তাঁরা।
ত্রিপুরায় সাংগঠনিক শক্তি বাড়াতে তেইশের বিধানসভা নির্বাচনে নতুন করে ঝাঁপিয়ে পড়ার প্রস্তুতি অনেক আগেই শুরু করেছে তৃণমূল। নিয়মিত সে রাজ্যের মাটি কামড়ে পড়ে থাকছেন তৃণমূলের ছাত্র-যুব নেতৃত্ব। বারবার হামলার মুখেও পড়ছেন তাঁরা। তা সত্ত্বেও লড়াই জারি রেখে একাধিক কর্মসূচি পালন করছেন।
ত্রিপুরার লড়াইয়ে ছাত্র-যুবদের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এগিয়ে দিয়েছেন অভিষেককে। তিনিই সেনাপতি। আর তাঁর সঙ্গে দলের পাঁচ অভিজ্ঞ-বর্ষীয়ান নেতা – কুণাল ঘোষ, মলয় ঘটক, শান্তনু সেন, ব্রাত্য বসু, সমীর চক্রবর্তী। প্রত্যেকেই পালা করে ত্রিপুরায় যাচ্ছেন, দলীয় বৈঠকে যোগ দিয়ে সংগঠনের কাজ দেখভাল করছেন। তবে বিধানসভা ভোটের আগে নিজেদের শক্তি পরীক্ষা করতে চাইছে তৃণমূল। আর সেখানে যে তাদের তুরুপের তাস মহিলা প্রার্থীরা, তা বলাইবাহুল্য।
Be the first to comment