অনেকেই বলছেন, সময়টা মনে হয়ে একেবারে ভালো যাচ্ছে না গেরুয়া শিবিরের। একদিকে নানা আশা জাগিয়েও বাংলায় ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। এনিয়ে এখনও হতাশা কাটিয়ে উঠতে পারেননি বিজেপির নেতা কর্মীরা। তবুও বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব চাইছেন নানাভাবে সংগঠনকে ধরে রাখতে। এব্যাপারে প্রশিক্ষণ আলোচনা সবই চলছে দলীয় স্তরে। করোনা পরিস্থিতিতে অনলাইনে চলছে এই আভ্যন্তরীন প্রশিক্ষণ। সেখানে দলের বাইরের কারোর প্রবেশে একেবারে কড়া নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
বুধবার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপস্থিতিতে তেমনই অনলাইনে প্রশিক্ষণ শিবির চলছিল। আচমকাই সেই প্রশিক্ষণ শিবিরে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে দেখা যায় কারোর নাম মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। আবার কারোর নাম জয় বাংলা। এদিকে বিজেপির একেবারে ঘরের আলোচনায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে এরা কারা? বিষয়টি নিয়ে শোরগোল পড়তেই প্রশিক্ষণ থামিয়ে দেওয়া হয়। তবে কী তৃণমূলের কেউ আড়ি পেতেছে প্রশিক্ষণে? একেবারে হইহই কাণ্ড। গেরুয়া শিবিরের অন্দরমহলের খবর, বিজেপির গোপন প্রশিক্ষণ শিবিরের সেই লিঙ্কই কোনওরকমে ফাঁস হয়ে যায়। আর সেই লিঙ্ক দিয়েই কেউ বা কারা ঢুকে পড়ে বিজেপির অন্দরের প্রশিক্ষণ শিবিরে। একেবারে ঘরের কথা বাইরে ফাঁস হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও তৈরি হয়ে বিজেপির অন্দরে।
এখানেই প্রশ্ন কারা এভাবে না বলে ঢুকে পড়ল বিজেপির ক্লাসে? সেটাও আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে। এর সঙ্গে আরও একটি প্রশ্ন দলের ক্লাসের লিঙ্ক বাইরে দিল কে। এবার সেই নামটাই খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে বিজেপি। কিন্তু ঘর শত্রু বিভীষণকে খুঁজে পেতে এখন নাকাল হচ্ছে গেরুয়া শিবির। তবে এব্য়াপারে প্রকাশ্য়ে কোনও মন্তব্য করতে চাইছেন না নেতৃত্ব।
Be the first to comment