পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনে মাদারকে পিছনে ফেলে কয়েক কদম এগিয়ে গেল যুব তৃণমূল। দিনহাটা ১ নং ব্লকের ৮ টি গ্রামপঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন হল মঙ্গলবার। ৮ টির মধ্যে ৪ টির দখল নিল যুব তৃণমূলের সমর্থনে দাঁড়ানো নির্দল সদস্যরা। আর দলের প্রতীক নিয়ে আরও ২ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল নিয়েছে তৃণমূলের যুবরা।
বেশ কিছুদিন ধরেই পঞ্চায়েতের রাশ কার হাতে থাকবে তা নিয়ে শাসক দলের দুই শিবিরের মধ্যে সংঘাত চলছে কোচবিহারে। এই দ্বন্দ্বে কার্যত নাভিশ্বাস উঠেছে প্রশাসনের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার দলের ভিতরের কোন্দলকে বরদাস্ত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিলেও হুঁশ ফেরেনি কারও। এই পরিস্থিতিতেই আজ ছিল দিনহাটার ৮ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের পর্ব। অশান্তি মোকাবিলায় সকাল থেকেই পুলিশি ব্যবস্থা ছিল চোখে পড়ার মতো। বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া শুরু হতেই দেখা যায় একে একে ৫ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল নিয়েছে যুবরা। বাকি ছিল শুধু আটিয়াবাড়ি। সেখানেও সকাল থেকে ছিল টানটান উত্তেজনা। পুলিশের পাহারায় জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যরা পৌঁছে ভোটাভুটিতে অংশ নেন। বোর্ড দখল করেন যুবরা।
গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির মধ্যে শোলমারি, পুটিমার-২ , দিনহাটা ভিলেজ -১ , দিনহাটা ভিলেজ -২ , গীতালদহ ১ ও গীতালদহ ২ এর দখল নেয় যুবরা। অপর দিকে মাদারের দখলে আসে আটিয়াবাড়ি-১ ও আটিয়াবাড়ি ২। তাঁদের বিবাদের খবর জানা গোটা তল্লাটের। তবুও সম্প্রতি দিনহাটায় দলীয় প্রতীকে জয়ী প্রার্থীদের প্রধান পদে বসানোর জন্যে জেলার তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক নিশীথ প্রামাণিকের মধ্যে বৈঠক হয়। দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহর বাড়িতে বৈঠকে বসেছিলেন তাঁরা। সেই বৈঠক যে কার্যত নিষ্ফলা আজ বোর্ড গঠনের পরে প্রমাণ হয়ে গেছে তা। ৮ টির মধ্যে ৪ টি গ্রাম পঞ্চায়েতেই প্রধান হয়েছেন যুব তৃণমূলের সমর্থনে দাঁড়ানো নির্দল কর্মী সমর্থকরা।
দলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ইতিমধ্যেই জয়ী নির্দল সদস্যদের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। তবে তৃণমূল যুবর নেতা নিশীথ প্রামাণিক জানিয়েছেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতোই সব পদক্ষেপ করবেন তাঁরা।
Be the first to comment