শুক্রবার রাজ্যসভায় ৪ টি আসনে প্রত্যাশিত জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সর্বোচ্চ ৫৪টি ভোট পেলেন তৃণমূলের শুভাশিস চক্রবর্তী। নাদিমূল হক ও আবির বিশ্বাস ৫২টি ভোট পেলেন। তৃণমূল প্রার্থী শান্তনু সেন ৫১টি ভোট পেলেন। এদিকে, পঞ্চম আসনে জয়ী হয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী অভিষেক মনু সিংভি। তৃণমূলের সমর্থনে জয়ী হন সিংভি। মোট ৪৭টি ভোট পান তিনি। অর্থাৎ ভোটের হিসেবে রাজ্যসভা নির্বাচনে এ রাজ্য থেকে সবথেকে বেশি ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন শুভাশিস চক্রবর্তী।
তবে বিধায়ক জাকির হুসেন ও মৃগেন মাইতির ভোট বাতিল হয়েছে। জানা গিয়েছে, এদিন ভোট দিতে গিয়ে মৃগেন মাইতি ক্রস চিহ্ন দেওয়ায় বাতিল হয় ভোট, আর জাকির হোসেন মাইনাস চিহ্ন দেওয়ায় ভোট বাতিল হয়ে যায়। যার জেরে বাতিল হয় ২টি ভোট। আর এই ভুলের মাশুল হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের থেকে মেলে কড়া ধমক। রাজ্যসভার ভোট নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয় দলের তরফে। তারপরেও ভোট দিতে ভুল হওয়ায় ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হলে এই দুটি ভোটও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারত বলে মত দলের শীর্ষ নেতৃত্বের। অতএব বলাই যায় রাজ্যসভার ৫টি আসনেই নিজেদের দাপট দেখালো তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। এই জয়ের মূল কান্ডারী অবশ্যই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। আর নির্বাচনে বিশেষ দায়িত্ব পালন করেছেন পরিষদীয় দলনেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এদিন নৌসের আলি কক্ষে বসে পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ৫ প্রার্থীর ক্ষেত্রেই কাকে কীভাবে ভোট দিতে হবে তা তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়কদের বলে দিচ্ছিলেন। আর ভোটগ্রহন কেন্দ্রে সমগ্র বিষয়টি দেখভাল করছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, অসীমা পাত্র এবং জ্যোতির্ময় কর।
শুক্রবার কংগ্রেস প্রার্থী অভিষেক মনু সিংভির সঙ্গে বিধানসভায় মমতা বন্দোপাধ্যায়ের এক দীর্ঘ বৈঠক হয়। দুজনেরই বডি ল্যাঙ্গুয়েজ বলে দেয় বিজেপি বিরোধীতায় তৃণমূল কংগ্রেস ও কংগ্রেস একে অপরের কাছাকাছি হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থনে সিংভির এই জয় ভবিষ্যতে দেশের রাজনীতিতে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলবে বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের।
Be the first to comment