ভোটের আগে ব্যাপক উত্তেজনা কোচবিহারের দিনাহাটায়। লাগাতার বোমাবাজিতে উত্তেজনা ছড়াল এলাকায়। ইতিমধ্যে দুটি বোমা পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিজেপি নেতার বাড়ির সামনেই গোটা ঘটনাটি ঘটেছে। অন্যদিকে তৃণমূলের এক নেতার গুলি লেগেছে বলে দলের তরফে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহর উপর হামলার ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল বিজেপি নেতা অজয় রায়ের। দীর্ঘদিন তিনি পলাতক ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি জামিন পান। এরপর জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর শনিবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্যে বাড়িতে আসেন। ঠিক সেই সময় অজয় রায়ের বাড়ির সামনে পড়তে থাকে লাগাতার বোমা। ইতিমধ্যেই দুটি বোমা ফেটে গিয়েছে এবং পড়ে থাকে আরও দুটি বোমা। সেই বোমাগুলিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ।
অন্যদিকে দিনাহাটার ৭ নম্বর ওয়ার্ড। সেখানে বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় সদ্য জয়ী তৃণমূল কাউন্সিল মিঠু দাসের স্বামী বিজু দাসের গুলি লাগে। পেটে লেগেছে গুলি। এবার তৃণমূলের অভিযোগ কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা সেই গুলি চালিয়েছে। হাসপাতালের একাংশ ব্যক্তি বলছেন যে গুলিবিদ্ধ ওই ব্যক্তির চিকিৎসা চলছে। আর কিছুক্ষণ পরই তার অস্ত্রোপচার হবে। ফলত অভিযোগ, পালটা অভিযোগ চরম অশান্তিতে দিনহাটা।
এদিকে বিজেপির দাবি, অজয় রায় বাড়িতে আসার পরই তার ঘরের সামনে ক্রমাগত বোমা ফাটাতে থাকে তৃণমূল কর্মীরা। সেই কারণেই কোনওভাবে চলেছে গুলি। অন্যদিকে, তৃণমূলের দাবি অজয় রায়কে ছাড়তে যে সকল কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছিল তাঁরাই গুলি চালিয়েছে।
গোটা বিষয়ে কী বললেন উদয়ন গুহ? অজয় রায় আজকে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে এসে বাড়িতে ঢুকেছে। ওনার বাড়িতে ঢোকার পর থেকেই বিভিন্ন জায়গা থেকে বিজেপির দুষ্কৃতীরা এসে ওঁর বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। ওখান থেকে যখন আমাদের কর্মী বীজু দাস বাইকে করে আসছিলেন তখন ওকে লক্ষ করে গুলি চালানো হয়। গোটা ঘটনা নিয়ে আমরা থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। আইসিকে বলেছি অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। এদিকে এই ঘটনায় তৃণমূ কর্মীরা থানা ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন।
Be the first to comment