উপরাষ্ট্রপতি পদে মার্গারেট আলভা বা জগদীপ ধনখড়, কাউকেই সমর্থন করছে না তৃণমূল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার ২২ জন লোকসভা এবং ১৩ জন রাজ্যসভার সাংসদকে নিয়ে কালীঘাটে বৈঠক করেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই ভোটদানে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সাংবাদিক বৈঠকে জানান দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তবে, সাংবাদিক বৈঠকে সুদীপবাবু কোনও মন্তব্য করেননি।
বিজেপি নেতৃত্ব উপরাষ্ট্রপতি পদে বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে এনডিএ প্রার্থী ঘোষণা করার পর থেকেই তৃণমূল এই ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছিল। দলনেত্রীর নির্দেশ ছিল উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে কোনও নেতা নেত্রী মুখ খুলতে পারবেন না। ২১ জুলাই সমাবেশ হওয়ার পর দলের সাংসদদের নিয়ে বৈঠক হবে সেই বৈঠকেই এই নির্বাচনে তৃণমূলের কী ভূমিকা হবে তা চূড়ান্ত করা হবে। সেই কারণেই এদিন ধর্মতলার সমাবেশে তৃণমূল নেত্রী বা দলের অন্য কোনও নেতা নেত্রী উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রসঙ্গ উল্লেখই করেননি।
সাংবাদিক বৈঠকে অভিষেক বলেন, রাজ্যপাল থাকাকালীন ধনখড় রাজ্য সরকার তথা শাসক দলের বিরুদ্ধে গত তিন বছর ধরে যে আচরণ করেছেন, তা সকলেই দেখেছেন। এদিনের বৈঠকে অধিকাংশ সাংসদই তাঁর ভূমিকার সমালোচনা করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত হয়, ধনখড়কে সমর্থন করা হবে না। অভিষেক আরও বলেন, যে ভাবে একতরফা কয়েকটি বিরোধী দল কংগ্রেস নেত্রী মার্গারেট আলভাকে উপরাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে, তাও তৃণমূল ভালো ভাবে নেয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এ ব্যাপারে কোনও আলোচনাও করা হয়নি। তার প্রতিবাদেই তৃণমূল মার্গারেট আলভাকেও সমর্থন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাঁর দাবি, বৈঠকে উপস্থিত দলের সব সাংসদই এই সিদ্ধান্তে সায় দিয়েছেন।
তবে প্রশ্ন উঠেছে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদানে তৃণমূল বিরত থাকায় কি বিজেপি লাভবান হবে? অভিষেক ওই প্রশ্ন উড়িয়ে দিয়ে বলেন, আমরা তো কাউকেই ভোট দিচ্ছি না। তাতে বিজেপির লাভের প্রশ্ন উঠছে কী করে? কংগ্রেস এবং সিপিএমের বক্তব্যে অতীতেও বিভিন্ন সময়েও তৃণমূল বিজেপির পাশে দাঁড়িয়েছে। অভিষেকের বক্তব্য, ভোটদানে বিরত থাকা মানেই বিরোধী ঐক্যে ফাটল ধরা নয়।
Be the first to comment