সাংগঠনিক নির্বাচন ঘোষণা করে দিল তৃণমূল। ২ ফেব্রুয়ারি নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে হবে ভোট। কারা কারা ভোট দিতে পারবেন তা ২৫ জানুয়ারির মধ্যে জানিয়ে দেওয়া হবে। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে এ কথা ঘোষণা করলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে তৃণমূল চেয়ার পার্সন পদে স্বাভাবিকভাবেই ভোট হবে না।
এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে পার্থবাবু বলেন, “দলের সঙ্গে এবং সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আর সভাপতি সুব্রত বক্সির সঙ্গে আলোচনার পর সেই আলোচনার ভিত্তিতে ঘোষণা করছি ২ ফেব্রুয়ারি তৃণমূলের সাংগঠনিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নেতাজি ইনডোরে হবে নির্বাচন। আমায় রিটার্নিং অফিসার হিসাবে নিয়োগ করেছে।” তিনি আরও জানান, নিয়ম অনুযায়ী চেয়ারপার্সন নির্বাচন হয় প্রথমে। তারপর সব পদে পরপর নির্বাচন হয়।
এদিন সাংবাদিক বৈঠক থেকে তৃণমূলের মহাসচিব জানিয়ে দেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিকল্প দলে নেই। তিনিই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাধারণ সম্পাদক করেছেন। এবার নির্বাচন বাকি পদের জন্য হবে।” সাধারণত পাঁচ বছর বা তিন বছর পরপর ভোট হয়। শেষ নির্বাচন হয়েছিল ২০১৭ সালে। ৫ বছর পর এবার সাংগাঠনিক নির্বাচন হবে দলে। ভোটের পর্যবেক্ষক বা অবজারভার কারা কিংবা ভোট কারা দেবে তা এখনও নিশ্চিত নয়। পরবর্তী সময় এই তালিকা তৈরি হবে বলে জানিয়েছেন পার্থবাবু। ২৫ জানুয়ারির মধ্যে চূড়ান্ত তালিকা ঘোষিত হবে। মহাসচিব আরও জানান, ডেলিগেট যারা হবে তারাই হবে ভোটার।
আগেই খবর ছিল মূল কাঠামো অটুট রেখেই ৩১ মার্চের মধ্যে সাংগঠনিক নির্বাচন সেরে নিতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। খুব স্বাভাবিকভাবেই দলের সর্বভারতীয় সভানেত্রী থাকছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি।
তবে দলকে সর্বভারতীয় পরিকাঠামো দিতে বিভিন্ন স্তরে কিছু রদবদল হতে পারে। তবে এবিষয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে এমন দু’একটি বিষয় রটেছে, যা পুরোপুরি ভিত্তিহীন। এদিন অভিষেককে নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্ক উড়িয়ে দেন দলের মহাসচিব। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, “জোর করে অভিষেককে বিতর্কে টেনে এনে লাভ নেই। তিনি সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। গোটা দেশের যুব মানসে নিঃসন্দেহে তাঁর প্রভাব রয়েছে।”
Be the first to comment