সামনেই লোকসভা ভোট। তার মধ্য়ে আচমকা আবার সন্দেশখালি ইস্যু যেন শাসকদলের অস্বস্তিকে অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে। এসবের মধ্য়েই ব্রিগেডে জনগর্জন সভা। আগামী ১০ মার্চ ব্রিগেডে বড় সভার ডাক দিয়েছে তৃণমূল। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্রিগেডকে কানায় কানায় পূর্ণ করা ও সেই সঙ্গেই ব্রিগেডের আবহ যাতে গ্রামে গ্রামে ছড়়িয়ে পড়ে সেটা নিশ্চিত করাটাও তৃণমূলের একটা বড় লক্ষ্য। এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। আর তার জেরেই এবার এমএলএ, এমপি, ব্লক সভাপতি, জেলা সভাপতিদের বিরাট নির্দেশ দিয়েছে তৃণমূল।
সূত্রের খবর যেটা বলা হচ্ছে, আপনি টুক করে সভায় চলে এলেন সেটা হবে না। একেবারে সংগঠিতভাবে দলে দলে লোকজনকে এই সভায় নিয়ে আসতে হবে। বিভিন্ন শাখা সংগঠন যাতে সক্রিয়ভাবে আসে সেটা নিশ্চিত করতে হবে নেতাদের।
নাম দেওয়া হয়েছে জনগর্জন সভা। কার্যত জনতার গর্জনকে গুরুত্ব দেওয়ার চেষ্টা। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, লোকসভা ভোটের মুখে একবার পরখ করে দেখে নেওয়া কতটা শক্তপোক্ত ভিতের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে তৃণমূল? সেই সঙ্গেই সন্দেশখালির ক্ষত, দুর্নীতির ক্ষত যেভাবে মানুষের মনে প্রভাব ফেলেছে তাতে প্রলেপ দেওয়া।
এদিকে এবারের ব্রিগেডের সভায় রেকর্ড সংখ্যক ভিড় করার জন্য সবরকম উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় তার প্রচারও চলছে। বিভিন্ন গ্রাম থেকে যাতে মানুষকে সংগঠিত করে সভায় নিয়ে আসা যায় তার চেষ্টা করা হচ্ছে। চাকরি সংক্রান্ত দুর্নীতির জেরে যুব সমাজের মনে যে হতাশা তৈরি হয়েছে সেটা যাতে ভোট বাক্সে কোনও প্রভাব না ফেলে তারও চেষ্টা করা হচ্ছে পুরোদমে। সেকারণে জনসংযোগের উপরেও বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলই ব্রিগেডে সভা করে। বামেরাও একটা সময় ব্রিগেডে সভা করত। ভিড়ে ঠাসা সেই সব ব্রিগেড। এমনকী ব্রিগেড ভরানোর পরেও পরের ভোটেই হেরে গিয়েছে এমন নজিরও রয়েছে। তবে এবার ব্রিগেডে জনগর্জন সভাটা তৃণমূলের কাছে বড় কর্মসূচি। কারণ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এখনও লোকসভা ভোটের দিন ঘোষণা করা হয়নি। তার আগে রাজনীতির জল মাপার জন্য় এই সভা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোথাও যদি ক্ষোভ বিক্ষোভ থেকে থাকে সেটা মেটানোর জন্যও হাতে যাতে পর্যাপ্ত সময় থাকে সেটা দেখা দরকার। সেই নিরিখেই কাজ করতে চাইছে তৃণমূল। সেই সঙ্গেই সন্দেশখালি সংক্রান্ত চর্চা যাতে জনমানসে বড় প্রভাব ফেলতে না পারে সেকারণে সবরকম চেষ্টা করছে শাসকদল।
Be the first to comment