গোয়ায় কংগ্রেসে ফের ভাঙন, ভোটের মুখে তৃণমূলে আরও ১ নেতা

Spread the love

বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তৃণমূলে যোগ দিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক বেঞ্জামিন সিলভা। বৃহস্পতিবার মহুয়া মৈত্র, সুস্মিতা দেব, সৌরভ চক্রবর্তী এবং গোয়া তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি কিরণ কান্দলকরের উপস্থিতিতে তিনি জোড়াফুল শিবিরে যোগদান করেন। হাতে তুলে নেন তৃণমূলের দলীয় পতাকা। এদিন অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেস-এর তরফ থেকে টুইট বার্তা দিয়ে বলা হয়, ‘তৃণমূলে যোগদানের জন্য ভেলিমের প্রাক্তণ বিধায়ক বেঞ্জামিন সিলভাকে অভিনন্দন।’

সূত্রের খবর, ভেলিম কেন্দ্র থেকে বেঞ্জামিনকে নির্বাচনী টিকিট দেয়নি কংগ্রেস। তাঁর পরিবর্তে ভোটে দাঁড় করানো হয়েছিল স্যাভিও ডি’সিলভাকে। এরপরেই রাজনীতিকের সঙ্গে হাত শিবিরের দূরত্ব তৈরি হয়। তিনি কোন দলে যোগ দিতে পারেন এ নিয়ে জোর জল্পনা চলছিল। তিনি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল থেকে কংগ্রেস নেতার পরিচয়ও সরিয়ে ফেলেন। অবশেষে তিনি যোগ দিলেন তৃণমূলে।

২০১৭ সালেও কংগ্রেস ছেড়েছিলেন বেঞ্জামিন সিলভা। কারণ, সে সময় দলের তরফ থেকে ফিলিপ নেরি রোড্রিগেজকে বেছে নেওয়া হয়েছিল। কংগ্রেসের টিকিটে ভোটে জেতেন রোড্রিগেজ। তবে ২০১৯ সালে আরও ন’ জন বিধায়কের সঙ্গে BJP -তে চলে যান তিনি। এদিকে ২০২০ সালের অগাস্ট মাসে আবারও হাত শিবিরে ফিরেছিলেন বেঞ্জামিন। ভেলিম থেকে লড়াই করার জন্য টিকিটও চেয়েছিলেন তিনি। এমনটাই সূত্রের খবর। কিন্তু, কংগ্রেস তাঁর দাবি উড়িয়ে স্যাভিও ডি’সিলভার উপর আস্থা রাখে। এরপরেই অভিমানী নেতা দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন।

এর আগেও কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন একাধিক নেতা। এমনকী গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে গোয়ার সাতবারের বিধায়ক তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফালেইরো যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। তাঁর সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন আরও সাত জন কংগ্রেস নেতা। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ শীর্ষনেতাদের সঙ্গে দলীয় পতাকা হাতে তুলে নিয়েছিলেন ফালেইরো সহ বাকিরা।

৪০ বছরেরও বেশি সময় কংগ্রেসে ছিলেন লুইজিনহো ফালেইরো। গোয়ার নাভেলিম কেন্দ্র থেকে সাত বার জিতে বিধায়কও হয়েছিলেন প্রবীণ রাজনীতিক। দু’বার মুখ্যমন্ত্রীও হয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি, ভারতের উত্তর-পূর্বের সাত রাজ্যে কংগ্রেসের সংগঠন সামলানোর দায়িত্ব ছিল তাঁরই কাঁধে।

তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর বর্ষীয়ান নেতা বলেছিলেন ‘৪০ বছর ধরে একটা দল করার পর আজ দিদির সঙ্গে নতুন যাত্রা শুরু করার একটাই কারণ। গোয়ার এখন যোগ্য, সুদক্ষ বিকল্প দরকার। গোয়ার অস্তিত্ব, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষার লক্ষ্যে আমিই দিদিকে ওখানে আসতে অনুরোধ করেছি।’

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*