ক্ষমতায় এলে রাজ্যের সব পরিবারকে মাসে ৫০০ টাকা করে অনুদান দেবে তৃণমূল সরকার৷ আদিবাসী, তফশিলি, সংখ্যালঘুদের মতো পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায় ভুক্ত পরিবারগুলির ক্ষেত্রে এই সাহায্যের পরিমাণ হবে মাসিক ১০০০ টাকা৷
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, পরিবারপিছু ন্যূনতম আয় বাড়াতেই এই প্রকল্পের কথা ভাবা হয়েছে ৷ সবমিলিয়ে বছরে সাধারণ তালিকাভুক্ত ১.৬ কোটি যোগ্য পরিবারকে মাসিক ৫০০ বা বছরে ৬০০০ টাকা করে সাহায্য করা হবে৷ এর বাইরে পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের তালিকাভুক্ত পরিবারগুলিকে মাসিক ১০০০ বা বছরে ১২০০০ টাকা করে সাহায্য করা হবে৷
তবে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মতোই এক্ষেত্রেও পরিবারের সবথেকে বয়স্ক মহিলা সদস্যের নামেই এই সাহায্য দেওয়া হবে৷ মহিলা ভোটারদের সমর্থন আদায় করতেই এই কৌশল নেওয়া হল বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা।
সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ছাত্র, কৃষক- সমাজের সব স্তরের মানুষের জন্য প্রায় কিছু না কিছু ঘোষণা রয়েছে তৃণমূলের ইস্তেহারে৷ সবমিলিয়ে দশ দফা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তাঁর দাবি, তৃণমূলের ইস্তেহারকে অনুমোদন করেছে নির্বাচন কমিশন৷
সব পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের প্রসঙ্গে তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘এটা একটা মাসিক আয় সুনিশ্চিত করার জন্য৷ সবাই পাবে৷ এর সঙ্গে চাকরি- বাকরি বা অন্য কিছুর সম্পর্ক নেই৷
ইতিমধ্যেই ক্ষমতায় ফিরলে বাড়ি বাড়ি রেশন পৌঁছে দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তৃণমূলের ইস্তেহারে সেই প্রতিশ্রুতিও রয়েছে ৷ পাশাপাশি, ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার জন্য ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চার শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷
যদিও তৃণমূলের এই ইস্তেহারকে বিশ্বাসযোগ্য নয় বলেই দাবি করেছে বিজেপি৷ বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসুর অভিযোগ, ‘রাজ্য সরকারি কর্মীরা ডিএ পাচ্ছেন না, শিক্ষকরা রাস্তায়, আর মুখ্যমন্ত্রী সব পরিবারকে মাসে ৫০০ টাকা করে দেওয়ার কথা বলছেন? উনি বলবেন আর মানুষ বিশ্বাস করবে?’
Be the first to comment