পঞ্চায়েত নির্বাচনে মুর্শিদাবাদ থেকে কংগ্রেসকে প্রায় নিশ্চিহ্ন করে ছেড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরও কংগ্রেসকে ভাঙার খেলা অব্যাহত রাখল তারা। জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারীর উপস্থিতিতে এবার কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন খড়গ্রামের বিধায়ক আশিস মার্জিত।
সেই কথামতোই আবারও কংগ্রেসের বিধায়ককে নিজেদের দলে নিয়ে এলেন তিনি। কংগ্রেস বিধায়ক আশিস মার্জিতের দলবদলে নিজভূমে আরও দুর্বল হয়ে পড়লেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। মুর্শিদাবাদের কংগ্রেসি দুর্গে ফাটল বেড়েই চলেছে। একে একে কংগ্রেস ছেড়ে বিধায়ক-নেতা-কর্মীরা যোগ দিচ্ছেন তৃণমূল শিবিরে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে বিপন্ন হয়ে পড়ছে কংগ্রেস।
মোট কথা, অধীর গড়ে অব্যাহত শুভেন্দুর হানা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে কংগ্রেস বিধায়ক শাওনি সিংহ রায় ও অপূর্ব সরকার যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে। মাত্র ১০ দিনের মধ্যে দুই বিধায়ককে তৃণমূলে এনে অধীর চৌধুরীকে বার্তা দিয়েছিলেন শুভেন্দু। বলেছিলেন মুর্শিদাবাদ থেকে কংগ্রেসকে নিশ্চিহ্ন করার কথা।
গত ৮ মার্চ কান্দির বিধায়ক অপূর্ব সরকারকে তৃণমূলে যোগদান করিয়ে শুভেন্দু অধিকারী হুঙ্কার ছেড়েছিলেন মুর্শিদাবাদে তিনি কংগ্রেসের পতাকা ধরার লোক রাখবেন না। তিনি যে ফাঁকা গর্জন ছাড়েননি, তিনি বুঝিয়েই দিয়েছিলেন লালবাগের বিধায়ক শাওনি সিংহরায়কে তৃণমূলে যোগদান করিয়ে। এবার আরও এক বিধায়ক যোগ দিলেন তৃণমূলে। এছাড়া উত্তর দিনাজপুরের গৌতম দাস ও বাঁকুড়ার আরএসপি বিধায়ক ধীরন্দ্রনাথ লায়েকের যোগদানে তৃণমূলের ক্ষমতা আরও বাড়ল। কংগ্রেস ৪৪ থেকে কমে পৌঁছে গেল ৩১-এ। আর ৩২ থেকে বামেরা ৩০-এ। তৃণমূল ২২৭।
Be the first to comment