সোমবার নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনে হিংসা নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্ত্রীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলায় সময় দিয়ে সমস্যা মেটানোর। কিন্তু তার কয়েকঘণ্টার মধ্যেই আবার খুন। মঙ্গলবার সকালে ঝাড়গ্রামে উদ্ধার হলো ক্ষতবিক্ষত তৃণমূল কর্মীর দেহ। নিহতের নাম চন্দন ষড়ঙ্গী(৪৫)।
ঝাড়গ্রাম ও জামবনীর মাঝখানে সত্যদিঘী এলাকার ধানজমিতে রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয় এ দিন সকালে। নিহত তৃণমূল কর্মীর গলা সহ শরীরের একাধিক জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিহত তৃণমূল কর্মী ঝাড়গ্রাম শহরের নতুন ডিহি এলাকার বাসিন্দা। তাঁর দাদা প্রসূন ষড়ঙ্গী তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য। তাঁর অভিযোগ, সিপিএম এবং বিজেপি মিলে তাঁর ভাইকে খুন করেছে। ঝাড়গ্রাম এবং জামবনী থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
যদিও বিরোধীদের দাবি, এই হত্যা তৃণমূলের ভিতরকার লড়াইয়ের ফল। পঞ্চায়েতের দখল কোন গোষ্ঠীর হাতে থাকবে তা নিয়েই শাসকের কোন্দল। গতকাল মালদায় মৃত্যু হয়েছিল দুই তৃণমূল কর্মীর। পুরুলিয়ার জয়পুরে নিহত হয়েছেন এক বিজেপি কর্মী। ফের মঙ্গলবার শাসক দলের কর্মী খুন ঝাড়গ্রামে।
Be the first to comment