রাজ্যের ৪ পৌরনিগমের নির্বাচন হবে কিনা তা এখনও অনিশ্চিত। তার মধ্যেই বিধাননগর পৌরভোটের ইস্তেহার প্রকাশ করল তৃণমূল কংগ্রেস। ইস্তেহারের নাম “বিধানগরের দশ দিগন্ত ৷ কলকাতা পৌরনিগমের মতোই ইস্তেহারে জোর দেওয়া হয়েছে দীর্ঘস্থায়ী নিকাশি ব্যবস্থা উন্নয়নের উপর। প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, বোর্ড গঠন করতে পারলে ৫১টি পাম্পিং স্টেশন এবং নর্দমা লাইনের মানোন্নয়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে ৷
নিকাশি সমস্যায় দীর্ঘস্থায়ী এবং বৈজ্ঞানিক সমাধানের জন্য স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। এরপরেই বলা হয়েছে সড়ক পরিকাঠামো উন্নয়নের কথা। প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে যে, মাইক্রো-সারফেসিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিধাননগরের বর্তমান সড়কগুলির মানোন্নয়ন এবং নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ-সহ পরবর্তী ৫ বছরে ৬৯.৫ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তায় ব্ল্যাক টপিং করা হবে। জল সরবরাহ নিয়েও প্রতিশ্রুতি আছে ইস্তেহারে। প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, ১০,০০০ বর্গমিটারের বেশি নবনির্মিত আবাসন এবং বাণিজ্যিক সম্পত্তিতে জল সংগ্রহ এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য জলাধার নির্মাণ করা হবে। বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে নির্মল বিধাননগর গড়ে তোলার ক্ষেত্রে।
ইস্তেহারে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, আগামী ৫ বছরের মধ্যে একটি কঠিন বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ প্ল্যান্ট নির্মাণ করা হবে এবং প্লাস্টিক মুক্ত বিধাননগর তৈরির জন্য অপ্রয়োজনীয় প্লাস্টিক সম্পূর্ণভাবে বাদ দিয়ে বিধাননগর জুড়ে সবুজের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে ১০,০০০টি চারা রোপণ করা হবে ৷ ইস্তেহার জোর দেওয়া হয়েছে বোর্ড পরিচালনাতে বিধাননগরের নাগরিকদের অংশগ্রহণ নিয়েও। তাই, ইস্তেহারে ওয়ার্ড পরিকল্পক কমিটি গঠন, ওয়ার্ডস্তরের অভিযোগ নিষ্পত্তি সেল গঠন, পাড়ায় সমাধান অ্যাপ চালু এবং বিধাননগর পৌরনিগমের সমস্ত পরিষেবার অনলাইন সুবিধা করার কথা বলা হয়েছে।
এদিন ইস্তেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দমদমের সাংসদ সৌগত রায় এবং বিধাননগরের বিধায়ক তথা রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। অনুষ্ঠানে প্রশ্ন ওঠে, আগের বিধাননগর পৌরভোটে সেখানকার মানুষ যে ধরণের সন্ত্রাস এবং রিগিং প্রত্যক্ষ করেছিল সেই ঘটনা কি এবারও ঘটবে? জবাবে সৌগত রায় বলেন, “বিধানগরে যা কাজ হয়েছে গত ৫ বছরে, তাতে সন্ত্রাসের কোনও প্রয়োজনই পড়বে না।
Be the first to comment