তৃণমূলের মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর করা হলো অরূপ-চন্দ্রিমা-কুণালকে

Spread the love

তৃণমূলের তরফে মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর করা হল অরূপ বিশ্বাস, কুণাল ঘোষ এবং চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে। এমনটাই জানা গিয়েছে তৃণমূল সূত্রে। এখন থেকে দলের তরফে সংবাদমাধ্যমে কে কথা বলবেন এবং বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমে কে প্যানেলে বসবেন, তার দায়িত্ব এখন থেকে এই তিন জনের উপরই বর্তাবে বলেই তৃণমূল সূত্রে খবর।

কুণাল আগে থেকেই দলের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তবে সংবাদমাধ্যম সামলানোর দায়িত্ব ছিল, ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাকের উপরে। এই সংস্থাই এত দিন ঠিক করত দলের তরফে সংবাদমাধ্যমে কারা কথা বলবেন। তবে কিছু দিন ধরেই তৃণমূল এবং আইপ্যাকের সম্পর্ক নিয়ে টানাপড়েনের কথা বার বার উঠে আসছিল। তৃণমূলের সূত্র অনুযায়ী, এখন এই সংস্থার কাছ থেকে সংবাদমাধ্যম সামলানোর দায়িত্বও সরিয়ে নেওয়া হল। তবে কি ইতি হতে চলেছে তৃণমূল এবং আইপ্যাক-এর সম্পর্কে? এই প্রশ্নই উঠে আসছে রাজ্যের বিভিন্ন রাজনৈতিক মহল থেকে।

পাশাপাশি শনিবার সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া তৃণমূলে সমস্ত জাতীয় স্তরের শীর্ষপদের আপাতত অবলুপ্তি ঘটানো হয়েছে। বদলে গড়া হয়েছে ২০ জনের জাতীয় কর্মসমিতি। যাঁরা দলের কাজ দেখাশোনা করবেন। কর্মসমিতির মাথায় রয়েছেন মমতা নিজে।

তৃণমূলের অন্দরের ব্যাখ্যা, এই পদক্ষেপে মমতা আরও এক বার দলের অন্দরে নিজের অবিসংবাদী কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করলেন। বস্তুত, সূত্রের দাবি, বৈঠকে উপস্থিতি নেতারা সকলেই মমতার হাতে দলের দায়িত্ব পরিপূর্ণ ভাবে অর্পণ করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, ‘মমতাই দলে শেষ কথা’। নেতাদের সাক্ষর সংবলিত সেই বার্তাও দলনেত্রীর কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। সূত্রের আরও দাবি, বৈঠকে সকলের সামনেই মমতা ‘ঐক্যবদ্ধ’ হয়ে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন।

তবে এই কোনও খবরই প্রকাশ্যে কোনও নেতা বলেননি। পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং ফিরহাদ হাকিম শুধু জাতীয় কর্মসমিতির সদস্যদের নামের তালিকা বৈঠকের শেষে পড়ে দিয়েছেন। ঘটনাচক্রে এই তালিকায় নাম নেই তৃণমূলের দুই সাংসদ সৌগত রায় এবং ডেরেক ও’ব্রায়েনের। এই দু’জনেই অভিষেকের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে দলের অন্দরে পরিচিত।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*